3:29 pm , December 23, 2023

আরিফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মাঠে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের দুজন প্রার্থীকে।
গত ১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে বরিশাল-৫ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়ে প্রতীক গ্রহণ করেন ছয়জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল পেয়েছেন সাবেক মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রিপন পেয়েছেন ট্রাক, এনপিপির আব্দুল হান্নান ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মাহাতাব হোসেন ‘ডাব’, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আসাদুজ্জামান ‘ছড়ি’ এবং স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ‘ঈগল’ প্রতীক পেলেও তার প্রার্থীতা ঝুলে আছে। আগামী ২ জানুয়ারী জানা যাবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না।
এ আসনে ইতিমধ্যেই নৌকা ও ট্রাকের ব্যাপক গণসংযোগ দৃষ্টি কাড়লেও লাঙ্গল, আম, ডাব ও ছড়ি প্রতীকের কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি।
নির্বাচনের মাঠে কেন আপনার কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়না? এ প্রশ্নের উত্তরে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ভাগাভাগির এই নির্বাচন আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। যেখানে ভোটের আগেই আসন ভাগ করে নৌকা তাদের প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে তাতেই স্পষ্ট হয় যে ফলাফল নির্ধারিত। আর ছড়ি প্রতীকের আসাদুজ্জামান বলেন, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এর নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়াটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান তিনি। আম ও ডাব প্রতীকের প্রার্থীরা এ নিয়ে কথা বলতেই রাজী নন। ২৩ ডিসেম্বর বরিশালের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বৈঠক করেছেন বরিশালের ৬ আসনের প্রার্থীদের সাথে। এসময় সদর আসনের ছড়ি ও ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীদের দেখা গেলেও আর কোনো প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রিপন এসময় তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বিরোধী পক্ষের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন। এই আসনে অনেক প্রার্থীদের কোনো প্রচার প্রচারণা নেই, তারা প্রতীক নিয়ে বসে আছেন জানালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভোটারদের উপস্থিতি। আর এই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের। এ সময় নির্বাচন কমিশনে সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।