3:50 pm , November 21, 2023

জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে নগরবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরবাসীকে জলাদ্ধতা থেকে রক্ষা দিতে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে ৬ টি খালের খনন কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় খনন কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ। প্রকল্প অনুযায়ী সাতটি খাল খনন করা হবে। কিন্তু একটি খালের খনন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন শুরু করেছে। তাই একটি খালের কাজ এখনই শুরু করা যাচ্ছে না। সাতটি খাল খনন হলে নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যাও দুর হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, আগামী সপ্তাহে খাল খননের কার্যক্রম শুরু করা হবে। আশা করছি খাল খনন শেষ হলে বরিশাল নগরীর জলাবদ্ধতা কমে যাবে। এ জন্য নগরী থেকে পানি নিস্কাসনের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভালো করার তাগিদ দিয়েছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬৪ জেলার নদী খাল খনন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ করা হবে। প্রকল্পে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর মাধ্যমে ১৭ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে।
সাতটি খাল হলো-নগরীর জেল খাল, পলাশপুর খাল, আমানতগঞ্জ খাল, সাগরদী খাল, রুপাতলী খাল, চাঁদমারী খাল ও ভাটার খাল।
তিনি আরো জানান, নগরীর সাগরদী খাল খননের কাজ সিটি কর্পোরেশন জলবায়ূ তহবিলের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে করা হচ্ছে। তাই এ খালের কাজ এখন শুরু করা যাচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশন যতটুকু করবে, তার পর থেকে খনন করা হবে। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা করে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রকল্পের আওতায় নগরীর আমানতগঞ্জ খালের ৩ কিলোমিটার, পলাশপুর খাল ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার, জেল খালের ২ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার, ভাটারখালের ১৮০ মিটার, চাঁদমারী ও শাখা খালের ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার, সাগরদী খালের ৩ কিলোমিটার ও রূপাতলী খালটির ১১শ মিটার খনন করা হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক রফিকুল আলম বলেন, সিটি কর্পোরেশন এরিয়ার মধ্যে সাতটি খাল খনন গত দুই বছর ধরে ঝুলে ছিলো। সাবেক মেয়র একটি চিঠি দিয়ে বন্ধ করার কারনে কাজ করা যায়নি। খাল খনন হলে নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। এ জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থায় আনার গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ৫৮ বর্গ কিলোমিটারের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকায় ড্রেন নেই। ড্রেন থাকলে লেয়ার ঠিক নেই। এগুলো সমাধান করতে হবে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, সাতটি খাল খননের জন্য ২০২২ সালের ২৯ মার্চ দরপত্র আহবান করা হয়। ওই বছরের ১২ এপ্রিল বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কাজ বন্ধ রাখার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেয়। এরপর প্রকল্পের টাকা অন্যত্র চলে যাওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীমের চেষ্টায় টাকা ফেরত যায়নি। নতুন করে দরপত্র আহবান করে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
নদী খাল বাচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, এটা একটা শুভকাজ। খাল খননের মাধ্যমে শুধু নগরীর জলাবদ্ধতা দুর হবে না। একই সাথে ঐতিহ্য ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।
তিনি বলেন, খাল খনন ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এটাও কঠিন তদারকি করতে হবে। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খাল খনন ও সংরক্ষন করা হয় সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি।