নগরীতে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সীরা নগরীতে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সীরা - ajkerparibartan.com
নগরীতে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সীরা

3:35 pm , November 20, 2023

নেই আইন প্রয়োগ বা প্রতিরোধের ব্যবস্থা
জুবায়ের হোসেন ॥ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এক রাতের ব্যবধানে মিলেছে ৫৫ হাজার টাকার জ্যাকপট। একাধিক মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট নম্বর ব্যবহার করে সেই টাকা সকাল হওয়ার পূর্বেই এসেছে নগরীর সাগরদী এলাকার যুবকের পকেটে। ওই যুবক প্রথমবারে ভাগ্যবান হলেও অনলাইন জুয়ার সাইট বা এ্যাপের মাধ্যমে এমন বিনিয়োগে প্রতিদিন কোটি টাকা হারাচ্ছে বরিশাল বিভাগসহ নগরীর হাজারো বিভিন্ন বয়সের জুয়ারিরা। বিগত ২/৩ বছর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এজেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত অনলাইন জুয়ার বিস্তার হয়েছে মাকড়সার জালের মতো। যুগের বিকাশে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের হাতে স্মার্ট ফোন চলে আসার সাথে সাথে এই জুয়া ছড়িয়েছে ভয়ংকর আকারে। পূর্বে  থাকা হাতে গোনা কিছু জুয়ার সাইট গুগল প্লে স্টোরের এ্যাপের আকারে বিভিন্ন নামে প্রকাশ্যে ব্যবহারের আওতায় চলে এসেছে। গত এক বছরে বরিশাল বিভাগে এর বিস্তার হয়েছে আশংকাজনক হারে। বিভিন্ন গেমের রুপে এ সকল জুয়া খেলা এখন নগরীর প্রকাশ্য বিষয়। খেলায় টাকা বিনিয়োগ ও উত্তোলনের বিষয়টি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সহজতর হওয়ায় এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও। দেশের অন্যান্য স্থানে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট অনলাইন জুয়া বন্ধে বিচ্ছিন্ন কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করলেও বরিশালের প্রেক্ষাপট শোচনীয়। সাইবার এই অপরাধ প্রকাশ্যে চললেও প্রতিহত করার কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। এমনকি এই অপরাধে কি শাস্তি, প্রতিহতে আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে করনীয় কি রয়েছে সামান্য এই বিষয়টি নিয়েও কথা বলার মত দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।
তবে অনলাইনে জুয়ার খেলার অপরাধে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে তিনজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পরিদর্শক শাহ মো. ফয়সাল বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করে। তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। মাঝে মধ্যে অভিযান করে আটক করা হয়।
সূত্র মতে, সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এক ধরনের কৌতূহল থেকে তরুণ প্রজন্ম আকৃষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন জুয়ার সাইটে। পাঁচ-দশ হাজার টাকার বিনিয়োগে শুরু করে লোভে পড়ে একপর্যায়ে হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার এসব সাইটের অধিকাংশ পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। বিদেশ থেকে পরিচালিত এসব সাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশের এজেন্টরা। জুয়ায় বিনিয়োগ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়- রাশিয়া থেকে পরিচালিত জুয়ার সাইট বেটউইনার (নবঃরিহহবৎ) ও ১ীনবঃ-সহ একাধিক সাইটে বাংলাদেশিদের লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় যুক্ত। এছাড়া রয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমেও পেমেন্ট করার সুযোগ। ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় এসব সাইটে। জুয়া খেলা বেশি করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে বাংলায়। অনলাইন ক্যাসিনোর এ্যাপ ইনস্টলের জন্যও দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অফার। এমনকি বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছবিও ব্যবহার করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় বরিশালের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে এই অনলাইন ক্যাসিনো। তবে এসব ক্যাসিনোর মালিক কারা বা কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। এসব অ্যাপের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সক্ষমতার অভাব রয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের। বিদেশ থেকে অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালিত হওয়ায় এগুলো ঠেকানো সহজ নয়। কয়েকটি ক্যাসিনোর ফেসবুক পেজে দেওয়া রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। এগুলোতে যোগাযোগ করেও তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং টাকার বিনিময়ে গ্রুপের সদস্য হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, নাম, বয়স, জন্ম তারিখ ও মোবাইল ফোন নম্বর। এসব তথ্য দিলেই মেলে গ্রুপের সদস্য হওয়ার অনুমতি। ১ী নবঃ, অনলাইন ক্যাসিনো, অনলাইন লুডু জুয়া সহ বিভিন্ন ফর্মেটে চলেছে জুয়া খেলা। জোঁক যেমন গায়ে লাগলে সমস্ত রক্ত শুষে নেয় ঠিক অনলাইনে জুয়াও ব্যক্তির জীবনকে শুষে ফেলে?। নগরীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অনলাইন জুয়ারীর সাথে আলাপ কালে জানান, বর্তমানে একটি স্মার্ট ফোন থাকলেই এসকল জুয়ায় বিনিযোগ সম্ভব। তিনি পূর্বে ১ী নবঃ এ খেলায় জুয়া ধরতেন। কিন্তু বর্তমানে এর তুলনায় আরও সহজ এ্যাপ এসেছে। যা গুগল স্টোরে পাওয়া যায়। তবে তিনি লড়শবৎ মধসরহম নামের একটি এ্যাপসে জুয়া খেলেন। এই এ্যাপের লিংক তাকে একটি নাম্বারে যোগাযোগ করে নিতে হয়েছে। ওই নাম্বারে ওয়াটস এ্যাপে এসএমএস করার পর তার ব্যবহৃত নামারটি একটি ওয়াটস এ্যাপ গ্রুপে এ্যাড করে দেয়া হয় গেমের লিংক। তার জন্য ওই এজেন্টরাই একটি গেমিং আইডি খুলে পাসওয়ার্ড সহ তাকে পঠিয়ে দিয়েছে। গেমে বিনিয়োগ করতে হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে নক করলে দেয়া হয় বিকাশ ও নগদের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট নম্বর। নির্দিষ্ট ওই নম্বরে পাঠানো টাকা যোগ হয় গেমের আইডিতে যা দিয়ে বিভিন্ন গেমের মাধ্যমে জুয়া খেলা হয়। টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়াটিও একই রকম জানান তিনি। জেতা টাকা যোগাযোগের মাধ্যমে জুয়ার অনলাইন এজেন্টরা পাঠিয়ে দেয় জুয়ারীর নগদ বা বিকাশ নম্বরে। এতে মাঝে মাঝে তাদের দিতে হয় বকশিস। এই জুয়ারী আরও জানায়, তিনি বর্তমানে যে  গেমটি খেলেন তা হয়ত বরিশালে যে কোন স্থানে থাকা এজেন্টরাই পরিচালনা করে বলে তার ধারনা। গোপনীয়তা রক্ষা করে শিফট ভাগ করে গেমের এজেন্টরা ২৪ ঘন্টাই এই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুয়ারী নিজে আসক্ত হলেও অনলাইন এই জুয়াকে জীবন ধ্বংস করা নেশা হিসেবে আখ্যা দেন। তার মতে দ্ইু একদিন খেললে এতে আসক্ত হয়ে পড়বে যে কেউ। প্রাথমিক ভাবে আপনাকে জয়ী করে টাকা দিয়ে আরও আসক্ত করে ফেলা হবে। এর পরে কেরে নেয় হবে সর্বস্ব। আইনশৃংখলা বাহিনীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় এই জুয়া বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন। যদি বিটিআরসি না চায় তাহলে এই এ্যাপ পরিচালনা করা সম্ভব না। অন্যদিকে এ বছরের শুরুতে জুয়া প্রতিরোধে নতুন আইন করছে সরকার। এজন্য নতুন ‘জুয়া আইন, ২০২৩’ এর খসড়া করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। মূলত ১৮৬৭ সালের ‘দ্য পাবলিক গ্র্যাম্বলিং অ্যাক্ট’ যুগোপযোগী করে নতুন আইনটি করা হচ্ছে। নতুন আইনে অনলাইন জুয়া অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। খসড়া আইনে জুয়ার শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদ- বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে মতে, ১৮৬৭ সালের জুয়া আইন হালনাগাদ করতে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লিপিকা ভদ্রকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইনের খসড়াটি জমা দেয়। জননিরাপত্তা বিভাগের সূত্র মতে, এখন খসড়া আইনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে। শিগগির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। জননিরাপত্তা বিভাগের আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগ সূত্রে মতে, বর্তমান জুয়া আইনটি দেড়শ বছরেরও বেশি পুরোনো। এ আইন দিয়ে হাল আমলের জুয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কারণ এখন জুয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়টি যুক্ত হয়েছে, যা আইনের আওতাভুক্ত নয়। একইসঙ্গে শাস্তিও খুবই কম। তাই জুয়ার আধুনিক পর্যায়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে শাস্তিও কয়েকগুণ বাড়ানো হচ্ছে। খসড়া আইন অনুযায়ী ‘জুয়া খেলা’ বলতে বোঝাবে সরকার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন ছাড়া সব ধরনের বাজি ধরা, অর্থ কিংবা পণ্যের বিনিময়ে প্রতিযোগিতামূলক সব ধরনের হাউজি, সব ধরনের লটারি, অর্থ বা আর্থিক মূল্যমানের কোন পণ্যের বিনিময়ে ভাগ্য কিংবা ভাগ্য ও দক্ষতার সংমিশ্রনে কোনো আর্থিক ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। ‘বাজী (বেটিং)’ ও ‘বাজীকর’-এর সংজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে খসড়া আইনে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, অনলাইন বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল বা সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ- দেওয়া যাবে। খসড়া আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্য স্থান, ঘর, তাঁবু, কক্ষ, প্রাঙ্গণে, প্রাচীরবেষ্টিত স্থান বা যানবাহন বা ইলেক্ট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে যে কেউ জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে অর্থ আদান-প্রদান করলে তিনি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দ-ে দ-িত হবেন। এই আইনের অধীনে করা অপরাধের শাস্তি ভোগ করার পর কোনো ব্যক্তি যদি ফের অপরাধ করেন তাহলে তিনি ওই অপরাধের জন্য এই আইনে সর্বোচ্চ যে শাস্তি রয়েছে এর দ্বিগুণ দ-ে দ-িত হবেন বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার বাইরে এ আইনে কোনো অপরাধ করলে তাকে এই আইনের অধীনে এমনভাবে বিচার করা যাবে যেন তিনি ওই অপরাধ বাংলাদেশের ভেতরে করেছেন। জুয়া আসক্তির কারণ ও এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে মনোরোগবিদ্যা চিকিৎসকদের মতে,”জুয়ার আসক্তি হলো- জুয়া খেলার জন্য মনের ভেতর অসম্ভব ও অনিয়ন্ত্রিত এক ধরনের চাহিদার সৃষ্টি হওয়া। সেই চাহিদা পূরণ না করে থাকা অত্যন্ত কঠিন। এই চাহিদাকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যেকোনো কিছুর বিনিময়েই আসক্ত মানুষটি সেই চাহিদা পূরণ করতে চায় এবং জুয়া খেলতে চায়।” অর্থাৎ এখানে অর্থের চেয়ে মানসিক শান্তি বেশি গুরুত্ব পায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কেএম মশিউর রহমান বলেন, সত্যি বলতে আইন প্রয়োগ করে অনলাইন জুয়া চিরতরে বন্ধ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ ডিজিটালাইজেশন এর কারণে এটি প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং এটি নিজের বাড়ি বসেই খেলা যায় তাই এখানে আইন প্রয়োগ করা কঠিন। অনলাইন জুয়া প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিটিআরসি নিয়মিত তদারকি করে জুয়ার সকল সাইট বন্ধ করে দিতে পারে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব এ কোন কোন কনটেন্ট দেখতে গেলে বিভিন্ন জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন চলে আসে। ফলে যারা এ সম্পর্কে জানে না তারাও এতে জড়িত হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে এবং এক জিনিস বারবার দেখতে দেখতে মানুষ কৌতুহল বশত তো এটিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই সকল বেটিং সাইটের প্রমোশন বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT