3:46 pm , November 15, 2023

ফলোআপ: বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
২টি মোটরসাইকেল ও ৪টি ল্যাপটপ ভাংচুর, ২০ হাজার টাকা ছিনতাই
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৮ থেকে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের উপর হামলার দায় চাপাতে হোস্টেলে থাকা একদল ছাত্র জানালার গ্লাস এবং ২টি মোটরসাইকেল ও ৪টি ল্যাপটপ ভাংচুর চালিয়ে ক্যাম্পাসে ত্রাসের রামরাজত্ব কায়ের করে। হামলাকারীরা হচ্ছে : রাতুল, বদর, ধ্রুব বিশ্বাস, সজিব ও রাজীসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ। আহতরা হচ্ছে : বেল্লাল জমাদ্দার, আনাস রহমান, তাহসিন, ইরান, শাহিন, শাহরিয়ার তানভীর ও সিফাতসহ ১০ জন।
ক্যাম্পাসে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন ১৩ নভেম্বর বিকালে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি ক্যাম্পাসে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরপরই প্রতিমন্ত্রী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এরপর ক্যাম্পাসে থাকা মাহিনকে একা পেয়ে আশিক, বদর ও সজিবের নেতৃত্বে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। এ সময় তাদের সাথে বহিরাগতরাও অংশ নেন। হামলার প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন ক্যাম্পাসে থাকা হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১০শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সুযোগে হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে।
কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব ভূঁইয়া বলেন, হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতেই খ্যান্ত হয়নি। বি-ব্øকের হোস্টেলের ২০৩নং কক্ষে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ৪টি ল্যাপটপ এমনভাবে ভেঙ্গেছে যা আর ব্যবহার করা যাবে না। এ সময় ওই কক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। সাকিব আরো বলেন, এরপর হোস্টেলের বেডের লোহার পায়া ভেঙ্গে তা দিয়ে হোস্টেলের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশ এবং শিক্ষকরা বাধা দিলেও তা মানেনি হামলাকারীরা। খবর পেয়ে রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ ও শিক্ষকরা বাধা দেয়। এখন হোস্টেলে প্রবেশ করলে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। তাদের অনুরোধে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি বহু শিক্ষার্থী। সাকিব আরো বলেন, হামলাকারীরা প্রচার চালায় প্রতিমন্ত্রী গ্রুপের শিক্ষার্থীরা হামলা-ভাংচুর চালিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যারা হামলা চালিয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মানে বাধা দিয়ে আসছিল। এমনকি তারা হোস্টেলের কক্ষে কক্ষে গিয়ে মূর্তি বানালে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। ওই ঘটনার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়। এখানে প্রতিমন্ত্রী কিংবা অন্য কিছুই নেই। আমরা কেন বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল কেন নির্মান করেছি এবং তা আবার প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করানোর কারণে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ খলিল উদ্দিন বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এরপর সাধারন শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় হল ছেড়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী হলে রয়েছে। কি কারনে কিসের জন্য এ হামলা-সংঘর্ষ সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।