3:36 pm , November 4, 2023

পাথরঘাটা প্রতিবেদক ॥ পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী বাজারে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক উত্তম মিত্রকে একদল মুখোশধারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও বেধরক পিটিয়ে ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দোকানের মালামাল লুট করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী বাজারে উত্তম মিত্রের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা লোহার রড, রামদা ও লাঠিসোটা দিয়ে ঘরের উপরে হামলা করে ও পরিবারের সকল সদস্যদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই ঘরে থাকা উত্তম ডাক্তার ও তার স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য গীতা রানী এবং তার মেয়ে এবং কাকাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা মনমথ মিস্ত্রি সহ ৫ জনকে তারা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এছাড়াও উত্তম ডাক্তারের মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটায়। ঘটনার পরপরই বরগুনার-২ আসনের সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোশারেফ প্রায় দুই শতাধিক মুখোশধারী নারী ও হেলমেট পরিহিত পুরুষ নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে চরদুয়ানী বাজারের পশ্চিম মাথায় অবস্থিত দোকান ও ভিটায় হামলা চালায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ান। রাতের আধারে দোকানঘর লুটপাট করে সেখানে দুর্বৃত্তদের তোলা নতুন ঘর সংসদ সদস্য দাড়িয়ে থেকে ভেঙে দিয়ে দখলে নেয়া ভিটা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেন। চরদুয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েল বলেন, ওরা রাতের আধারে ঘর ও মালামাল লুট করেছে। যা চরম অপরাধ। চরদুয়ানী একজন ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিত্র বলেন, এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো রাতের আধারে লুটপাট করে হিন্দুদের জমি দখলে নিতে চেয়েছিল এরা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষথেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পাশেই ছিল চরদুয়ানী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের টহল। অথচ এই সংখ্যালঘু পরিবারটি আক্রান্ত হওয়ার পরেও তারা এগিয়ে আসেনি। যদিও ৯৯৯ এ কল করার পরে এবং সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহআলম হাওলাদার বলেন, জমিজমা’র কাগজপত্র থাকলে আইনের মাধ্যমে দখলে যাওয়ার সূযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোশারেফের স্ত্রী সহ ৩ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোশারেফের স্ত্রী সুরমা ব্যতীত বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।