3:24 pm , October 28, 2023

সন্ধ্যার আগে মাত্র কয়েক মিনিট দু’একটি এলাকায় মাইকিং করলেও বেশির ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি আগে জানতেই পারেনি
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জরুরী রক্ষণাবেক্ষনের নামে মহানগরীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় শণিবার সকাল ৯টা থেকে টানা নয় ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ওজোপাডিকো’র বরিশাল বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ-১’এর আওতাভুক্ত নগরীর ‘হাতেম আলী কলেজ ফিডার’, ‘সিএন্ডবি ফিডার’, ‘সার্কিট হাউজ ফিডার’ ও ‘আলেকান্দা ফিডার’এ বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকায় নগরীর দক্ষিণ অংশের প্রায় ৪০ ভাগ এলাকার অন্তত ৩০ হাজার গ্রাহকের দূর্ভোগের শেষ ছিল না। এমনকি ৪টি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগরীর অর্ধেকেরও বেশী এলাকায় শনিবার সকালের পর থেকে পানি সরবরাহও বন্ধ ছিল। রোববার সকালের আগে আর এসব এলাকায় পানি সরবরাহ সম্ভব হবে না বলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধের তেমন একটা আগাম ঘোষণাও দেয়া হয়নি। সন্ধ্যার আগে মাত্র কয়েক মিনিট দু’একটি এলাকায় মাইকিং করলেও বেশির ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি জানতেই পারেনি। বিদ্যুৎ বিভাগের এধরণের অবহেলার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
মহানগরীর অভ্যন্তর অংশে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কটি ৪ লেনে সম্প্রসারনের ফলে এসব ফিডারের বিদ্যুতের খুঁটি অপসারন কাজ করতে গিয়ে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে ওজোপাডিকো’র ডিভিশন-১’এর নির্বাহী প্রকৌশলী। পাশাপাশি এসব ফিডারের রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামত কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তবে গত কয়েক মাসে এ মহাসড়ক প্রসস্ত করণের লক্ষে বিপুল সংখ্যক বৈদ্যুতিক খুটি অপসারন করতে গিয়ে দিনের পর দিন এসব ফিডার বন্ধ রাখা হলেও রক্ষনাবেক্ষন কাজে খুব মনযোগ লক্ষ্য করায় যায়নি বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পানী। এমনকি দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে সন্ধ্যায় চালু করার পরে রাতেই কয়েক দফায় লাইনে ত্রুটি ও গোলযোগের কারণে সরবরাহ বন্ধের ঘটনা ঘটেছে।