3:28 pm , October 25, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যর ঘরে ডাকাতিতে জড়িত চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি এবং লুট করা স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ডাকাত সদস্যরা হলো- বাকেরগঞ্জ উপজেলার চাটরা গ্রামের বাদল খানের চেলে মুছা খান (২১), একই গ্রামের নুর মোহাম্মদ খলিফার ছেলে পলাশ খলিফা (৩৩), পশ্চিম সরসী গ্রামের জালাল সিকদারের ছেলে সাগর সিকদার ( ২৩) ও চাটরা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে মাসুদ খান (৪০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, চাটরা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রফিকুল ইসলাম খলিফার ঘরে গত ২০ অক্টোবর দিনগত গভীর রাতে ডাকাতি হয়। ১০ /১২ জনের একটি ডাকাত দল একতলা ভবনের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সকলকে জিম্মি করে। পরে ডাকাত দল নগদ এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ টাকাসহ ১২ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার, মোবাইল ফোন, ঘরিসহ মুল্যবান ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা রফিকুল ইসলাম খলিফা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করে। মামলার রুজুর পর জেলা গোয়েন্দা, সরসী তদন্ত কেন্দ্রের ও বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রথমে মুছা খান, সাগর সিকদার ও পলাশ খলিফাকে গ্রেপ্তার। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাসুদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও বুধবার সকালে সাগর সিকদারের ঘর থেকে লুট করা একটি স্বর্নের চেইন, গ্রীলকাটার কাজে ব্যবহৃত একটি রেইঞ্জ, মুছা খানের বাসা থেকে একটি রামদা ও একটি ছোড়া এবং মাসুদ খানের ঘর থেকে এক জোড়া কানের ঝুমকা, এক জোড়া স্বর্নের রিং এবং নগদ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানিয়েছে, লুট করা অন্য মালামাল ও টাকাসহ সহযোগিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাসায় তিনি একা ছিলেন। সন্তান ও স্ত্রী শ্যালকের বাসায় বেড়াতে গিয়েছে। রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত একটার দিকে ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ডাকাতি করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের তিনি শনাক্ত করেছেন।
রফিকুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, পাশের বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। কিন্তু ডাকাতির সময় কেউ বিষয়টি টের পায়নি। যা তাকে পীড়া দিয়েছে বলেন রফিকুল ইসলাম খলিফা।