আপোষ মিমাংশার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তার জামিন আপোষ মিমাংশার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তার জামিন - ajkerparibartan.com
আপোষ মিমাংশার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তার জামিন

3:50 pm , October 10, 2023

প্রতারণা ও ধর্ষণ অভিযোগ মামলায়
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মকর্তার করা বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় আপোষ-মিমাংশার শর্তে জামিন পেয়েছে দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। মামলায় আদালতের সমনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাজির হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির। গত ২ জানুয়ারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। নালিশী মামলার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে (৪০) আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়।
বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানান, পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালত সমন দিয়েছিলো। পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে নিস্পত্তির আবেদন করেন। আপোষ মিমাংশার শর্তে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বর্তমানে সারদায় কর্মরত রয়েছেন। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, নারী কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতেন। সেই সূত্রে তারা পূর্বপরিচিত। বরিশাল এসে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের বিষয়টি নারী কর্মকর্তার স্বামী জানতে পেরে গত বছরের জানুয়ারিতে ডিভোর্স দেন। এরপর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোতে ‘ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী’ ওই নারীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলাতো আসেন, তখন বাদীও সেখানে যান। বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে তখন তাকে মারধর করা হয়।
গত বছরের ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। ২০২২ সালের ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাদের বিয়ে নিবন্ধন হয়। পরে তারা বরিশালে ফিরে আসেন।
২০২২ সালের ৮ অক্টোবর ফেরদৌস বরিশাল থেকে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের কথা ‘ভুলে যেতে’ বলেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন।
এরপর ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিস পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করেন ওই নারী।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT