3:48 pm , October 2, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বানারীপাড়ায় বেসরকারি একটি হাসপাতাল অস্ত্রপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ রেখে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করে ওই প্রসূতির পেট থেকে সেই গজ বের করা হয়েছে। বর্তমানে সেই নারী শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোগীর বোন ইসরাত জাহান জানান, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে ডা. মোঃ লুৎফুল আজিজের অধীনে পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে ১৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে কয়েকদিন প্রস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়। পরে বেসরকারি ওই হাসপাতালে গেলে তারা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করে। তবে আমাদের কিছুই জানাচ্ছিলো না। পরে বোন আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। তিনি বলেন, এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান আমার বোনের পেটের মধ্যে কিছু একটা রয়েছে। তারা আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করান। তবে ঝুঁকি বুঝেও আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হই এবং তার রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর শেবাচিম হাসপাতালেই বোনের অপারেশনটি হয়। প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন থিয়েটারে ছিলো আমার বোন। আর সেসময় আমার বোনের পেটের মধ্য থেকে বেশ লম্বা গজ কাপড় বের করা হয়। তিনি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, আর দুই তিনদিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। মৃত্যু পথযাত্রী হওয়া বোনের অপচিকিৎসায় যারা দ্বায়ী তাদের বিচার দাবি করেছেন ইসরাত জাহানসহ স্বজরা। এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের যোগাযোগ নম্বরে কল করা হলে অর্পন নামে এক ব্যক্তি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না। বিস্তারিত জানতে হলে স্যারদের সাথে তিনি যোগাযোগ করতে বলেন। তবে সন্ধান না পাওয়ায় এবং নাম্বার না দেয়ায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক আজীজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।