3:54 pm , October 1, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা।বরিশালের ম-পগুলোতে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। আর সনাতন ধর্মের মানুষের মাঝে সাজসাজ রব পড়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। বরিশালে এবার ৫৯৮টি ম-পে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গাপূজা। জানা যায়, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বরিশাল মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বরাবরের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানজটমুক্ত, মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বরিশাল জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখাজী কুডু জানান, এবছর বরিশাল জেলায় ৫৯৮টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বরিশাল মহানগরীতে গত বছরের চেয়ে একটি বেড়ে মোট ৪৫টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বরিশাল সদর উপজেলার ২৫টি ম-পে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় গত বছরের চেয়ে ২টি বেড়ে ১৬৫টি ম-পে, হিজলা উপজেলায় গত বছরের চেয়ে ১টি বেড়ে মোট ১৬টি, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এবছর ২টি কমে মোট ৭৪টি, মুলাদী উপজেলায় এবছর একটি কমে মোট ১১টি, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২৪টি, বাবুগঞ্জ উপজেলায় এবছর ১টি বেড়ে ২৫টি, বানারীপাড়ায় ১টি বেড়ে এবছর ৫৮টি, উজিরপুরে এবছর ২টি কমে মোট ১১৬টি ও গৌরনদীতে ৮৪টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মানিক মুখার্জী আরো জানান, পুজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরী শুরুর পর থেকেই নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার পুজামন্ডপ পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো আছেন বলে দেখতে পেয়েছেন। এদিকে জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্বিঘেœ উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।কেউ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। নিরাপত্তার জন্য ম-পে ম-পে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও প্রতিটা মন্দিরে আনসার বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক থাকবেন। ওই সূত্র আরও জানায়, পূজার আগে, পূজা চলাকালিন ও প্রতিমা বিসর্জনের সময় পর্যন্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন।পূজায় মাদকের অবাধ বিস্তাররোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। এবছর দেবী দুর্গা আসছে ঘটকে করে যাবেও ঘটকে করে। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসব ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ।