3:17 pm , September 25, 2023

বাউফল প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বঞ্চিত করে অর্থের বিনিময়ে ১৫ টি স্বচ্ছল পরিবারকে মুজিব বর্ষের চতুর্থ ধাপের ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লার বিরুদ্ধে।
স্বচ্ছল ১৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘর দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ৫ জন বাসিন্দা। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়‘ মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে চতুর্থধাপে বাউফল উপজেলার পূর্ব কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাজারের দক্ষিণ পাশে গত ২৩ আগষ্ট ২১ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। তবে এরমধ্যে ১৫ টি ঘরের মালিক স্বচ্ছল ও তাদের জমি এবং বাড়ি রয়েছে। প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার জন্য ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লা ঘর প্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজী না হলে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লা স্বচ্ছলদের নাম দেন। অভিযোগকারী মো. কবির কারিকর বলেন,‘ মুজিব বর্ষের ঘর বিতরণে মেম্বার অনিয়ম করছে এ ঘটনা সত্য? এবং এ জন্য আমি মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগে? স্বাক্ষর দিছি। তিনি আমাকে আমার বাসার সামনে বসে মারধর করেছে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি এ ঘটনার জন্য ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’
কাছিপাড়া ইউনিয়নের চর রঘুনদ্দি গ্রামের বাসিন্দা বকুলি বেগম বলেন, ‘আমার কিচ্ছু নাই। পোতা, বাড়ি সব নদীতে লইয়া গেছে হেরপরও আমি ঘর পাই নাই’। মেম্বার ১০ হাজার টাহা চাইছে, টাহা দেলে ঘর দেবে। কিন্তু টাহাও দেতে পারি নাই, ঘরও দেয়নি।’
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জি এম মাহবুবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী। গত শুক্রবার ১৫ জনের মধ্যে ৫ ঘরের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
কনকদিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্র্তা জি এম মাহবুব বলেন,‘ আমি সরেজমিনে গিয়ে ৫ টি ঘরের বিষয়ে তদন্ত করেছি। এরমধ্যে অনেক গুলোরই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।’
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লা বলেন, ‘অভিযোগটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা অভিযোগ করেছে তারাই জানেনা। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী বলেন,‘ আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং সাথে সাথে তদন্ত করতে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্টে সত্যতা পেলে সংশোধন করা হবে। যেহেতু এখনো সংশোধনের সুযোগ আছে।’