3:49 pm , September 24, 2023

আজকের পরিবর্তনের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
‘নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পরেই আমরা দুজনে মিলে আধুনিক নগর গড়বো’
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পানি সম্পদ মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম এমপি বলেছেন, ২০১৮ সালে নির্বাচিত হবার পর থেকেই স্বপ্ন ছিলো বরিশাল নগরীর উন্নয়ন করা। যদিও এ উন্নয়ন সিটি মেয়রের দায়িত্ব ছিলো। তিনি বলেন ’আমি সিটি মেয়রকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম, সহযোগিতার কথা সিটি কর্পোরেশনকে জানানোর পরেও ওনারা তা গ্রহন করেননি। নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পরেই আমরা দুজনে মিলে আধুনিক নগর গড়বো’। শুক্রবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড গেস্ট হাউজে দৈনিক পরিবর্তনের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বরিশাল সদর আসনটা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা। সিটি কর্পোরেশনের একজন মেয়র আছে, নগর উন্নয়নের দায়িত্ব তার। সংসদ সদস্য হিসেবে আমি শুধু তাকে সহায়তা করতে পারি যদি সে তা চায়। সিটি মেয়র সহযোগিতা না চাইলে এমপি হিসেবে নিজ থেকে উদ্যোগ নেয়া যায় না। মন্ত্রী বলেন নগরীর ৭টি খাল খননের প্রকল্প নিয়েছিলাম, টেন্ডার দিয়েছিলাম, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কেন পারিনি তা আপনারা ভালো জানেন। এ কাজ বাস্তবায়নে পুনরায় টেন্ডার দিয়েছি। নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পর পরই খালগুলো খননের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারনে গত ৫ বছর নগরীতে যে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়েছে তা আগামীতে নতুন সিটি মেয়ররের সাথে মিলে করতে চাই। আগামীতে নির্বাচিত হলে মেয়রকে নিয়ে একটি আধুনিক বরিশাল গড়বো। মন্ত্রী বলেন ৫ বছর সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। নির্বাচিত হলে মাদক, সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি মুক্ত বরিশাল গড়বো। বরিশাল ভোলার সড়কের কাজ সম্পন্ন করে ভোলার গ্যাস বরিশালে এনে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবো। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন নতুন মেয়র নির্বাচিত হবার পরে ইতিমধ্যেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় এলজিইডি থেকে ৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের তহবিলও চলে এসেছে। কিন্তু কাজ শুরু হবে ১৪ নভেম্বরের পর। এছাড়াও এলজিইডি থেকে পাঠানো বরিশালের উন্নয়নে ৬শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে আগামী মাস নাগাদ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত সময় বরিশাল সদর আসনে যারা সংসদ সদস্য ছিলো তারা গত ২৫ বছরেও সদরের কোন উন্নয়ন করেনি। গত সাড়ে চার বছরে করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও আমি প্রচুর উন্নয়ন করেছি। তিনি বলেন, কীর্তনখোলার ভাঙ্গন কবলিত চরবাড়িয়া এলাকা। যেখানে নদী ভাঙ্গনে দুটি শিশুরও প্রানহানি হয়েছিলো, সেখানে আজ খুশির জোয়ার। আতংকিত এই জনপদ এখন পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাধ করে ভাঙ্গন বন্ধ করা হয়েছে। আজ এখানকার মানুষ জীবন পেয়েছে, পেয়েছে জেবিকার সন্ধান। মন্ত্রী বলেন, চরকাউয়া, চরমোনাই ও লামচরিতে ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে এসব স্থানের ফিরবে প্রানের স্পন্দন। শায়েস্তাবাদের ভাঙ্গন বন্ধের কাজ শেষ হলে সদর উপজেলা হবে ভাঙ্গনমুক্ত। তিনি বলেন, বাউফল ও বাকেরগঞ্জের ধুলিয়ায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বরিশাল অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন রোধ হবে। তিনি তার ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে আবেদন করে বলেন, আজ পর্যন্ত কেউ তার কাছ থেকে ফিরে যায়নি। মানুষের সাথে তিনি আছেন এবং থাকবেন। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বরিশাল তার দৃঢ অঙ্গীকার। তিনি বলেন, জনতায় রায় আবার পেলে বরিশাল সিটির নব নির্বাচিত মেয়রকে নিয়ে এবার গড়বেন সমৃদ্ধির বরিশাল।