4:11 pm , September 23, 2023

বিভাগীয় রোডমার্চ কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকার পতনের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে বরিশালে বিভাগীয় রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। শনিবার সকাল ১০ টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কর্মসূচি থেকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক। বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর, এয়ারভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল বিভাগীয় রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির দলনেতা হারুন অর রশিদ, বিএনপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোডমার্চের সমন্বয়কারী বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষ আজ দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে। একটি ডিম ১৬ টাকায় কিনে খাচ্ছে। দেশে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। গরিব মানুষ হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। আর এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দিয়ে জেলে দিচ্ছে। নারী-শিশু এমনকি সাংবাদিকরাও এই মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনির মামলার চার্জশীট একশতবার পিছিয়েছে। সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। এই অবস্থা থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে বিএনপি আন্দোলন করছে।’ তিনি আরও বলেন, ব্যর্থ আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র করে আরেকটি পাতানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে।’ নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি এক দফার আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাবে। এই সরকার বিনা ভোটের সরকার তারা পুনরায় একক ভাবে ভোট করে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু এদেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিসহ সরিক দলগুলো নির্বাচনে যাবেনা। এর আগে রোড মার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমবেত হতে থাকেন। তারা মোটরসাইকেল, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মিনি পিকআপ যোগে রোডমার্চে অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে ছিল বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্লাকার্ড ও দলীয় পতাকা। বেলা সোয়া ১১টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে শুরু হয় রোডমার্চ। যা নগরীর রূপাতলী হয়ে ঝালকাঠি এলজিইডি মোড়ে পথসভা করে। এতে বরিশালের ৬ জেলা ও ৪২টি উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতারা অংশ নেন। তবে রোডমার্চের শুরুতেই বৃষ্টি শুরু হয়। এর ফলে মোটরসাইকেল এবং ট্রাক-মিনি ট্রাক নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে যায়। এতে অংশ গ্রহণ করা অনেক নেতা-কর্মীকে কর্মসূচি থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে। তবে বরিশালের দপদপিয় সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার নেতাকর্মীরা রোড মার্চে অংশ নেয়। এছাড়া ঝালকাঠি এবং পিরোজপুরের নেতাকর্মীরা স্ব-স্ব জেলা-উপজেলা থেকে অংশ গ্রহণ করেন। এদিকে বিএনপির রোডমার্চ ঘিরে নগরীর দক্ষিণ জনপদে দীর্ঘ ২ ঘণ্টার অধিক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের অভ্যন্তরীণ প্রধান সড়ক বান্দরোড, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে নগর অংশে আমতলার মোড় থেকে রূপাতলী এবং রূপাতলী থেকে ঝালকাঠি সড়কের কালিজিরা ব্রিজ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।