4:19 pm , September 19, 2023

মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে শ্বাস রোধ করে আশরাফুল আলম হাসিব (২২) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশরাফুল আলম হাসিব পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে। হাসিবের মায়ের অভিযোগ, তার ছেলের শ্বশুর লোকজন নিয়ে ছেলেকে হত্যা করেছে। তবে হাসিবের শ্বশুর হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন। এনিয়ে হাসিবের পরিবার ও তার শ্বশুরের পরিবারকে সন্দেহ করছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা। জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কে হাসিবের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরকালেখান ইউনিয়নের দক্ষিণ গাছুয়া গ্রামের লূৎফর রহমানের মেয়ের তানজিলার বিয়ে হয়। কিন্তু হাসিবের বাবা-মা কিংবা পরিবারেরর সদস্যরা ওই বিয়ে মেনে নেয়নি। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। বিয়ের স্বীকৃতি না পেয়ে কিছুদিন আগে তানজিলা বাদী হয়ে হাসিব, তার বাবা আব্দুল মালেক, মা জাহানারা, ভাই নাজমুলকে আসামী করে বরিশাল নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। জাহানারা বেগম জানান, ‘লূৎফর রহমান তার মেয়েকে পুত্রবধু হিসেবে মেনে নিতে হাসিবসহ সবাইকে চাপ দিয়ে আসছিলো। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লুৎফর রহমান ও তার ছেলে লিমনসহ ৫ জন বাড়িতে আসে। তারা আমার হাত-পা-মুখ বেঁধে বারান্দায় রেখে ঘরের মধ্যে গিয়ে হাসিবের শ্বাস রোধ করে হত্যা করে চলে যায়। পরে বড় ছেলে নাজমুল এসে আমার বাঁধন খুলে দিলে ঘরের ভিতরে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দেই। পরে পাশ্ববর্তী লোকজন পুলিশে সংবাদ দেয়।’ হাসিবের শ্বশুর লুৎফর রহমান বলেন, ‘হাসিব ও তানজিলা প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু আব্দুল মালেক হাওলাদার বিয়ে মেনে নেননি। তিনি বিয়ে ভাঙার জন্য হাসিবকে অনেক চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। বিয়ে না ভাঙায় তারা সবাই মিলে হাসিবকে হত্যা করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে ফাঁসাতে চাইছেন।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, হাসিবের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার হত্যা নিয়ে কিছুটা ধোয়াশা রয়েছে। হাসিবের শ্বশুর ও সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।