4:17 pm , September 19, 2023

মো: আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ উজানী পানির চাঁপ আর নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে শহর রক্ষা বাঁধের ঢাল সংরক্ষনের সিসি ব্লকে একের পর এক ধ্বসের ঘটনা ঘটছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ইলিশা লঞ্চ ও ফেরি ঘাটসহ পুরো এলাকা। এসব ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে আশপাশের মানুষসহ ব্যবসায়ীরা। দ্বীপ জেলা ভোলার মুল ভুখন্ডের চারপাশটা ভয়াল মেঘনা আর তেতুলিয়া নদী বেস্টিত। তাই বেশির ভাগ অংশই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দিয়ে ঘেরা। ১৯৭০ সালের ভয়াল জলোচ্ছাসে কয়েক লাখ মানুষ মানুষ মারা যাওয়ার পর থেকেই ভোলার মানুষকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়। বন্যা ও শহর রক্ষা বাঁধদের ভাঙ্গন রক্ষায় দেয়া হচ্ছে সিসি ব্লক। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বন্যা ও শহর রক্ষা বাঁধ এবং বাঁধ রক্ষায় সিসি ব্লকসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং কর হয় প্রতি বছরই। এসব কাজের মান নিয়ে সব সময়ই অনিয়মের অভিযোগ থাকে। তবে এসব কাজ প্রভাবশালীরা করায় অভিযোগ থাকলেও আমলে নেয় না পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে এসব কাজের অংশ হিসেবে ভোলার ইলিশা থেকে রাজাপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধা রক্ষায় বাঙধের ঢালে সিসি ব্লক করা হয় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়। ৪কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ রক্ষায় তীর সংরক্ষনে সিসি ব্লক স্থাপন কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। তবে গত কয়েকদিন ধরেই ইলিশ লঞ্চ এবং ফেরিঘাট এলাকায় হঠাৎ করেই একের পর এক ধ্বস দেখা দিয়েছে। এসব ঘটনার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরিঘাট এবং ভোলার ইলিশা টু ঢাকা ও লক্ষ্মীপুর রুটের লঞ্চ ঘাটসহ পুরো এলাকা। এজন্য স্থানীয়রা উজানী পানির চাপ আবার কেউ মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে দায়ী করছে। ইলিশা লঞ্চঘাট এর ম্যানেজার মো: মহসিন বলেন, লঞ্চঘাটের যে পন্টুনটি মাটি বা রাস্তা থেকে আলাদা হয়ে গেছে। যাত্রীদের ওঠানামা করার জন্য যে স্থায়ী পন্টুনের সাথে লোহার সিড়ি রয়েছে তা আলাদা হয়ে গেছে। ফলে যাত্রীদের ওঠানামা ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে পারপার করতে হচ্ছে। এছাড়া মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উঠানোকে দায়ী করে। অপর ব্যবসায়ী মো: ইউসুফ বলেন,নদী থেকে প্রতিদিন যে ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে হুমকির মুখে পরবে দ্বীপ জেলা ভোলা। দ্রুত বালু উদ্দোলন বন্ধ করা জরুরী। এদিকে উজানী পানির চাপে ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ব্লকের ধস হয়েছে বলে দাবী করে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন,ধ্বসের পর পরই দ্রুত জিও ব্যাগ দিয়ে সিসি ব্লকের ধস ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। ১২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। যতক্ষন পর্যন্ত ধ্বস না বন্ধ হবে ততক্ষন কাজ চলবে বলে জানান। তবে নদী থেকে বালু ইত্তোলনের বিষয় বলেন,অবশ্যই আপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন হলে এটা হুমকি ভোলার জন্য।