3:40 pm , September 13, 2023

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ ভোলার চরফ্যাসনে জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আবদুল হক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের আমিনাবাদ মৌজায় ২৮৬ নং খতিয়ানের জমি দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যের নিকট বিক্রিত জমি ও মসজিদে দানকৃত জমির দলিল দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী দিন মুজুরের পরিবার। সম্প্রতি সময়ে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকায় এ প্রতারনার ঘটনা ঘটেছে। দিন মজুর পরিবার তাদের উপার্জনের টাকা হারিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে সমাজপতিদের ধারে ধারে ঘুরে বেড়িয়েও কোন প্রতিকার পাননি ।
ভুক্তভোগী নারী সালমা অভিযোগ করেন, একই গ্রামের আবদুল হক হাওলাদারের কাছ থেকে আমিনাবাদ মৌজায় ২৮৬ নম্বর খতিয়ানে তিনি এবং তার স্বামী নাগর মাঝি বায়না চুক্তির মাধ্যমে ১৬ শতাংশ জমি খরিদ করেন। জমির মালিক আবদুল হক বায়না চুক্তির পর পরই ওই জমি তাদের দখল ও বুঝিয়ে দেন। দখল পাওয়ার পর তারা ওই জমিতে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই জমি দলিল নেয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। প্রতারক আবদুল হক হাওলাদার তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে বায়না চুক্তি অনুযায়ী বিক্রিত জমি দখল দেয়া জমি না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে পার্শ্ববতী মসজিদে দানকৃত জমি ও অন্যের কাছে বিক্রিত জমি ফের ভুয়া কাগজের মাধ্যমে দলিল সম্পন্ন করেন। সম্প্রতি তিনি ওই জমির কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে জানতে পারেন তাদেরকে দেয়া দলিলের জমি অন্যের কাছে ইতিপূর্বে বিক্রি করা হয়েছে। ফের প্রতারণা করে ওই জমি তাদেরকে দলিল দিয়েছেন।
আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিবর হোসেন জানান, আবদুল হক হাওলাদার অসহায় পরিবারের কাছ থেকে জমি বিক্রি করেন। কিন্তু দলিল দেয়ার সময় ভুয়া কাগজপত্র দেন।