3:42 pm , September 12, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পেয়াজ, রসুন, আদা, গোলআলু, চিনি, আটা, ভোজ্যতেল, ডিম এবং রান্নার গ্যাস সহ সব ধরনের সবজি ছাড়াও প্রতিটি নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে বরিশালের নি¤œ ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারে নভিশ^াস উঠছে। প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম গত এক বছরে দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার নির্বাহ এখন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের।দোকান ও বাজারে যেখানেই যার সাথে কথা হয়, সবাই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চরম ক্ষোভের কথা বলছেন। মাছ, গোসত ও ডিমের দাম নিয়ে বাড়তি ক্ষোভ সবার মধ্যে। হাজার টাকার সাড়ে ১২ কেজির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে এখন দেড় হাজার টাকা। দু মাস আগে দেশী পেয়াজ ৪৫ টাকা থেকে এখন ৭৫-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রী হচ্ছে। আমাদনীকৃত পেয়াজ ৩৫ টাকা থেকে ৬০-৬৫ টাকায় উঠেছে। গত বছর এই সময়ে যে গোল আলু ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রী হয়েছে, এখন তা ৫০ টাকা। ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমার পরেও প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। চিনি সর্বকালের রেকর্ড ছাপিয়ে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি। আটার কেজি যে ৬০ টাকায় উঠেছে, তা আর নামার কোন লক্ষন নেই। ময়দার কেজি ৭৫-৮০ টাকা। চালের বাজার গত দু মাস কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও আগের মূল্য বৃদ্ধির নিচে আর নামেনি। এখনো মাঝারী মানের ‘বিআর-২৮ বা আঠাশ বালাম’ চালের কেজি ৬০ টাকা। আর মধ্যম-ভাল মানের মিনিকেট চালের কেজি ৭০ টাকা। সর্বনি¤œ মানের চালের কেজি এখনো ৪০ টাকার ওপরে। বর্তমানে সরকারী ‘খোলা বাজারে চাল বিক্রী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে আপাতত চালের বাজার আর নিচে নামার সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যাবসায়ীরা। উপরন্তু দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমন উঠতেও আরো তিন মাস বাকি। ফলে চালের বাজার নিয়েও সামনে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।