3:50 pm , September 6, 2023
সাইদুল ইসলাম, বানারীপাড়া ॥ বানারীপাড়ার উদয়কাঠীতে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিম উপজেলার উদয়কাঠির ইউনিয়নের তেতলা পিজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় প্রায় ১ মাস পরে মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা হেলাল ঘরামী বাদী হয়ে শেরে-বাংলা বাজার সংলগ্ন খালের খেয়া মাঝি মো. ইউসুফকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে,গত ৫ আগস্ট শনিবার ভোরে তেতলা গ্রামের বাড়ি থেকে হেলাল উদ্দীনের মেয়ে ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় শেরেবাংলা বাজার জামে মসজিদে কোরআন শরীফ পড়তে যায়। এসময় খেয়া পারাপারের সময় ওই কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ও ভুল বুঝিয়ে বাংলা বাজারের খালের খেয়া মাঝি মো ইউসুফ তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ফাঁকা ঘরে নিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে ফিরে গিয়ে তার মা-বাবার কাছে বিষয়টি জানায়। তারা বিষয়টি জানার পরে ওই দিনই থানায় মামলা দায়েরের সিন্ধান্ত নিলেও স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মন্টু মিয়া ধর্ষক ইউসুফের পক্ষ নিয়ে এ ঘটনার সুবিচারের মিথা আশ্বাস দিয়ে সুকৌশলে তাদেরকে মামলা দায়ের থেকে বিরত রাখেন। ঘটনার ৪ দিন পরে একদিন রাতে ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া দুই পক্ষকে নিয়ে তার বাড়িতে বসে শালিস-বৈঠকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেন। ওই বৈঠকে ওই সময় স্থানীয় সেলিম,মোক্তার ও শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। এসময় অভিযুক্ত ইউসুফ জরিমানার টাকা দেওয়ার বিষয়ে ১৫ দিনের সময় নিয়ে গা-ডাকা দেয়। উল্লেখ্য যে, ওই শালিস-বৈঠকে ধর্ষক ইউসুফকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা বৈঠকে উপস্থিত অন্যরা স্বীকার করলেও ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন,অভিযোগ পেয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে এবং ভিকটিম ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টুকে থানায় ডেকে এনে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা হয়েছে। জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান াতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার ভুইয়া রুবেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ রাসেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মুজাহিদ প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেড. আই. কামাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মাজহারুল ইসলাম তুহিন, সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিরসদস্য সচিব এড. শাহাদাৎ হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সরদার সাফায়াত হোসেন, আজাদুর রহমান আজাদ, এড, মুশফিকুর রহমান বাবু, বিএনপি নেতা এড. নাসিমুল হাসান, এড. মিজানুর রহমান মুবিন, জেলা কৃষক দল সভাপতি রবিউল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহনের পর পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মীসভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচছা জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান নেতৃবৃন্দ। তারা আরো বলেন, অবিলম্বে বিএনপি ঘোষিত দাবীসমূহ মেনে নিয়ে সরকার দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখবেন। অন্যথায়, বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দাবী দাওয়া আদায় করতে বাধ্য হবে।