4:15 pm , September 5, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়া থেকে স্কুল ছাত্র হত্যা মামলার দ-িত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিনগত গভীর রাতে পরিচালিত অভিযানে আসামীর সাথে ধস্তাধস্তিতে গৌরনদী মডেল থানার এসআইসহ দুই কনষ্টেবল আহত হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামী কার্তিক চন্দ্র ভক্ত (৩৫) গৌরনদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরদী মহল্লার মথুরা ভক্তর ছেলে। সে গৌরনদী পৌরসভার সুন্দরদী মহল্লার ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দাসের ছেলে ও টরকী বন্দর ভিক্টরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রানা দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দ-িত আসামী। গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. সাহাবউদ্দিন জানান, হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দ-িত আসামীকে আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, যাবজ্জীবন দ-িত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে গৌরনদীর থানার একটি দল। এ সময় আসামী হ্যান্ডকাফ পড়তে আপত্তি করে। তখন আসামী ও পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়েছে। এতে এক এসআই ও দুই কনষ্টেবল আহত হয়েছে।
তারা কেউ গুরুতর আহত হয়নি। দ-িত আসামী গ্রেপ্তারে অভিযানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তাই এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি।
একই কথা জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন। তিনি বলেন, আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধস্তাধস্তির ঘটনায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক হেলালউদ্দিন।
২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি বিকেলে গৌরনদীর সুন্দরদী মহল্লার ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দাসের ছেলে ও উপজেলার টরকী বন্দর ভিক্টোরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র রানা দাসকে কৌশলে স্থানীয় কার্তিক ভক্ত, সুলতান শরীফসহ তাদের সহযোগিরা পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরন করে। ওইসময় অপহরনকারীদের নাম প্রকাশ পাওয়ায় ১৪ জানুয়ারি রাতে অপহৃতার বাবা বাদি হয়ে কার্তিক ভক্ত, সুলতান শরীফ ও তার স্ত্রী হেনা বেগমকে আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ কার্তিক ও সুলতানকে গ্রেপ্তার করে। তারা অপহৃত রানাকে হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। অপহরনের পাঁচদিন পর আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টরকীরচর এলাকার একটি পানবরজের পাশের ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে রানার লাশ উদ্ধার করা হয়।