বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

3:56 pm , September 1, 2023

বরগুনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে ইমাম সম্মেলন ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে লোকবল নিয়োগ, বরাদ্দের টাকা তছরুপ ও স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রতিবছরই জাতীয়ভাবে জেলা পর্যায় ইমামদের নিয়ে ইমাম সম্মেলন, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও জেলার শিক্ষকদের নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ  প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আলোচনা সভার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইমাম সম্মেলনের জন্য ৩০ হাজার টাকা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির জন্য ৩০ হাজার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি না করে এই বাজেটের টাকা উপ-পরিচালক আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও জেলার সকল শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ করে জাকাত বাবদ রশিদ না দিয়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা উত্তোলন করেন। গত ১১ এপ্রিল সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দারুল আরকান ইবতেদায়ী মাদ্রাসার পরিচ্ছন্নতাকর্মী  পদে ১২ জন প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে  জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দারুল আরকান ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সংস্কার ও আসবাবপত্র ক্রয় করার নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ হয় চার লাখ ২১ হাজার ৫৩৬ টাকা। সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা প্রতিষ্ঠানে বণ্টন না করে উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হক আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছেন বলে জানা গেছে। বরগুনা জেলায় সর্বমোট ৬৮৫টি গণশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। জেলা ও উপজেলায় প্রায় ৫০টি কেন্দ্র শূন্য রয়েছে। কর্মরত প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হলেও উপ-পরিচালক বরগুনা ইসলামী ফাউন্ডেশনের গাজী আনোয়ারুল হক নোটিশ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কিছু শিক্ষকের কাছে উপ-পরিচালক টাকা দাবি করলে শিক্ষকরা টাকা না দিতে পারায় ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে ১৭ শিক্ষককে বাদ দিয়েছেন। বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠক লাইব্রেরি ও বই বিক্রয় কেন্দ্রে গোয়ালঘরে পরিনত হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হতে পারে। সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আমার কাছে জমা আছে। সবাইকে ডেকে টাকাগুলো দিয়ে দেব। অন্যান্য বিষয় তিনি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরিশাল বিভাগের ডিজি কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ?বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমানিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT