সহকারী শিক্ষককে ঝাড়ুপেটা করার হুমকী প্রধান শিক্ষকের ! সহকারী শিক্ষককে ঝাড়ুপেটা করার হুমকী প্রধান শিক্ষকের ! - ajkerparibartan.com
সহকারী শিক্ষককে ঝাড়ুপেটা করার হুমকী প্রধান শিক্ষকের !

4:07 pm , August 29, 2023

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বহরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ ওয়াহেদ মৃধার বিরুদ্ধে সহকারি শিক্ষকের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাত, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে অন্য সহকারি শিক্ষক দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ও নির্ধারিত সময়ের পরে বিদ্যালয়ে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসবের প্রতিবাদ করায় একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিরা আক্তারকে ঝাড়ুপেটা করার হুমকী দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিরা আক্তার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেনের মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ মনিরা আক্তার বহরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ওই প্রধান শিক্ষক তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। প্রথম দিকে কাউকে না জানিয়ে মুখ বুঝে সহ্য করলেও এখন বাধ্য হয়ে অভিযোগ করেছেন। দিনদিন তার অনিয়িম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অশালীন নোংরা ভাষায় গালমন্দ করা বেড়েই চলছে। ওই শিক্ষক মঙ্গলবার সকাল ৯টায় যথারীতি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষক ও অন্য সহকারি শিক্ষকরা সকাল সাড়ে ৯টার পর স্কুলে আসেন। এরপর হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওই প্রধান শিক্ষক মনিরা আক্তারকে অকথ্য ভাষায় মা-বাবা তুলে গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন দিয়ে মনিরা আক্তারকে ঝাড়ুপেটা করানোর হুমকী দেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকা-ের কারণে দিনদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিনদিন কমে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে যে বরাদ্দ এসেছে তা প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেছেন। তিনি তার আপন বোনকে এই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে এনেছেন। তিনিও ভাইয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে নিয়মিত ক্লাস করান না।
প্রধান শিক্ষক এমএ ওয়াহেদ মৃধা মুঠোফোনে বলেন, আমি স্কুলের বাইরে আছি। আপনার কথা থাকলে পরে স্কুলে আসবেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বরত সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে (এটিও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT