4:39 pm , August 27, 2023

আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে হাসপাতাল ও ফার্মেসীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্যালাইন সংকট, বিপাকে পড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। স্যালাইন সংকটের কারনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। এই চাহিদাকে পূঁজি করে বেড়েছে স্যালাইনের দাম। কিছু কিছু ফার্মেসীতে এক একটি একশ টাকা মূল্যের নরমাল স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা পর্যন্ত।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় রোগীদের অনেকের প্লাটিলেট ঠিক রাখতে বেশি প্রয়োজন হয় ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন ও সাপোজিটরির। কিন্তু দিন দিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ফার্মেসী গুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্যালাইনের সংকট। যে কারনে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কিংবা বাড়িতে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা।
ডেঙ্গু রোগী আয়শা সিদ্দিকা জানান, হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়ে পাওয়া যাচ্ছে না ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন। যে কারনে ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতাল কিংবা ফার্মেসীতে ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন না পাওয়ায় অনেক ফার্মেসী থেকে বাড়তি দামে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে তাদের। একশ টাকা মূল্যের নরমাল স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা পর্যন্ত তবুও পাওয়া যাচ্ছে না এই ওষুধ।
হাসপাতালে কর্মরত নার্স আভা করাতী জানান, ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন সংকটের কারনে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ইসলাম ফার্মেসীর মালিক খোকন তালুকদার জানান, ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন কোম্পানিগুলোতে অর্ডার দিয়েও পাচ্ছেন তারা। যে কারনে চাহিদা থাকলেও বিক্রি করতে পারছেন না। তবে চাহিদা বাড়লেও স্যালাইনের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলো ও ফার্মেসীর ব্যবসায়ীরা।
তবে হাসপাতালে ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, অধিক গুরুতর রোগীদের জন্য হাসপাতালে নরমাল স্যালাইন মজুদ রয়েছে। ফার্মেসীগুলোতে স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করেন তিনি। ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ব্যবসায়ীরা যেন ব্যবসা করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং এর আহ্বান জানান এ চিকিৎসক।