4:22 pm , August 24, 2023
বাবুগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জে ১০ গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা একটি ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ! প্রতিদিন এই ঝুকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে শতশত শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়ত করেন। এছাড়াও ১০ গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ এ সাকো ব্যবহার করে তাদের দৈনন্দিন কর্ম সম্পাদন তরেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রহমতপুর এলাকার জামিয়া কাছেমিয়া মাদ্রাসার পাশে একটি খালের ওপর পাকা সেতু নির্মিত না হওয়ায় ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতু না থাকায় যোগাযোগ সমস্যার কারনে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ৩ শত শিক্ষার্থী ও ১০জন শিক্ষক প্রায় ২কিলোমিটার ঘুরে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ায় নানা সমস্যার সমূখীন হচ্ছে। সুগন্ধ্যা নদীর সাথে ২০০ ফুট একটি সংযোগ রাজার ব্যার নামে একটি খাল রহমতপুর মাধবপাশা ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ওই খালের দুই পাশে পাকা সড়ক থাকলেও পাকা সেতু না থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলতে ২ কিলোমিটার পথ ঘুরে শিক্ষার্থীসহ ১০ গ্রামের মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। এই খালের ওপর পাকা সেতু নির্মিত না হওয়ায় পূর্ব রহমতপুর, প্রতাবপুর, পশ্চিম রহমতপুর, ছাতিয়া,মেঘিয়া, হিজলা, বকশিরচরসহ ৮/১০ গ্রামের লোকজনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক পার হয়ে ২কিলোমিটার পথ ঘুরে পোষ্ট অফিস, ব্যাংক ও বাজারে আসা যাওয়া এবং বিভিন্ন কাচামালামাল আনা নেওয়া পরিবহন করতে চরম দূর্ভোগের সম্মূকীন হতে হচ্ছে। খাল থেকে ১ শত গজ দূরে রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ বালিকা বিদ্যালয়ের অবস্থান। ওই স্থানে পাকা সেতু না থাকায় দুই শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা বাশেঁ সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে আবার অনেকে মহাসড়ক পার হচ্ছে। প্রতি বছর এলাকাবাসীর উদ্যোগে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মান করে পারাপারের ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হলেও প্রায় সময় সাঁকো পানির স্্েরাতে ভেঙ্গে যাওয়ায় দূর্ভোগ চরমে পৌঁছে। মাদ্রাসার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম খান ও মাদ্রাসা ও এতিম খানার পরিচালক মুফতি মাওলানা নোমান জানান, মাদ্রাসায় ২৫০ জন ছাত্র এবং এতিমখানায় ৫০ জনসহ ৩০০ জন ছাত্র রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছোট শিশুরা বাঁশের সাঁকো পার হতে না পেয়ে তারা ২কিলোমিটার পথ ঘুরে মাদ্রাসায় আসছে। এছাড়া এতিম ছাত্রদের জন্য বাজার করতে ২কিলোমিটার পথ ঘুরে বাজারে আসতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এলাকাবাসী।