২১ দিন এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ চরম দূর্ভোগে রোগীরা ২১ দিন এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ চরম দূর্ভোগে রোগীরা - ajkerparibartan.com
২১ দিন এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ চরম দূর্ভোগে রোগীরা

4:18 pm , August 23, 2023

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জালানি বরাদ্দ অন্য খাতে
রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি ॥ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভুলের কারণে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ২১ দিন ধরে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানী খাতের বরাদ্দ অন্য খাতে দেয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা চরম দূর্ভোগে পরেছে। এ সুযোগ নিয়ে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, প্রতি বছরের জুলাই মাসে জ্বালানী খাতের বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু এবার অন্যখাতে বরাদ্দ চলে যাওয়ায় সদর হাসপাতালের ২টি এ্যাম্বুলেন্সের সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানাগেছে। ঝালকাঠি এ্যম্বুলেন্সের জ্বালানী খাতে বছরে বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা। যা এবছর হাসপাতালের ভ্রমন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ ভ্রমন খাতের বরাদ্দ ছিল ১ লাখ টাকা। এ বিষয়ের সত্যতা জানিয়ে হাসপাতালের আরএমও ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, ভুল বশত এক খাতের টাকা অন্য খাতে যাওয়ায় সাময়িক এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসায় তাকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. মহসীন জানান, গত ৭ মাসের বকেয়া টাকা পাবে পেট্রোল পাম্প। ২১ দিন হলো তাদের টাকা দিতে না পারায় তারা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। শুনেছি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ভুলের কারণে জ্বালানী খাতের টাকা যে খাতে দেয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে এনে টাকা পাঠাবে। সরকারি ভাবে কিলোমিটার ১০ টাকা হারে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল ভাড়া ৪০০ টাকা। কিন্তু এখন বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অপেক্ষমান রাজাপুরের আব্দুল হালিম। কেন তিনি এখানে এসেছেন জানতে চাইলে বলেন, ভাই এখানে আমার রোগী আছে সার্জারি ওয়ার্ডে। কিন্তু রোগীর অপারেশন এখানে করতে না পারায় বরিশালে নিতে হবে। সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বাহিরের এ্যম্বুলেন্সে রোগী বরিশালে নিয়ে যাব। কিন্তু তারা এখান থেকে বরিশালে যেতে ভাড়া ৮০০ টাকা এবং বকশিস চাচ্ছে ২০০ টাকা। আমার এতো টাকা দেয়ার সামর্থ না থাকায় এক আত্মীয়র কাছ থেকে ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদকে দুবার ফোন দিলে তিনি প্রথমবার বলেন আমি মিটিং এ আছি, এখন কথা বলা যাবেনা। দ্বিতীয়বার বলেন, আমি ঝামেলার মধ্যে আছি। এ বিষয়ে আপনি পরে ফোন দেন। তখন কথা বলা যাবে। ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. এসএম জহিরুল ইসলাম বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্দ না থাকায় রোগীরা সেবা না পাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক হলে সত্য যে, আমাকে বিষয়টি হাসপাতাল থেকে অফিসিয়ালি জানায়নি। তবে আপনার কাছে এবং লোক মুখে শুনেছি। কি কারণে এটা হলো খোজ খবর নিয়ে সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT