3:55 pm , August 21, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভা-ারিয়ায় চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে নার্স ও আয়াদের দিয়ে সন্তান প্রসবের সময় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পর লাইফ কেয়ার হসপিটাল ঘেরাও করেন রোগীর স্বজনরা। সোমবার বেলা ১১ টায় ভা-ারিয়া লাইফ কেয়ার হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, সোমবার সকাল ৯ টায় ইকড়ি ইউনিয়নের আতরখালী এলাকার মো. জোবায়ের মৃধার স্ত্রী হালিমা বেগমের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে লাইফ কেয়ার হসপিটাল নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা জরুরি সেবা দিতে থাকেন। কিন্তু ওই সময় ক্লিনিকে কোন চিকিৎসক ছিল না। ক্লিনিকের নার্সর ও আয়ারা ডেলিভারি দায়িত্ব নেন। ডাক্তার ছাড়াই নার্স নবজাতককে টেনে-হিঁচড়ে বের করায় সময় শিশুটির ঘাড় ভেঙ্গে ফেলে। এতে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ খবর প্রসূতির স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা ক্লিনিক ঘেরাও করেন। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রন করে। পুলিশ ক্লিনিকের কর্মচারীদের আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
নবজাতকের মা হালিমা বেগম জানান, প্রসবব্যথা উঠলে প্রথমে ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্স উক্ত ক্লিনিকে নিয়ে যেতে বলেন। তখন আমার স্বজনা আমাকে নিয়ে তাৎক্ষনিক লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স ও আয়ারা ডেলিভারীর ব্যবস্থা করে বলে জানান। কিন্তু ক্লিনিকে চিকিৎসক ছিল না। সেই বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। পরে নার্সরাই ডেলিভারি করান। ডেলিভারির পরে জানতে পারি আমার সন্তান মারা গেছে। ডেলিভারির আধাঘন্টা পূর্বে আলট্রাসনোগ্রাম করালে সে রিপোর্টে নবজাতককে সুস্থ জানতে পারি। তাদের অবহেলা ও অজ্ঞতার কারণে আমার সন্তান মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয় জানতে লাইফ কেয়ার হসপিটালে গেলে মালিক পক্ষ, নার্স ও আয়াদের ক্লিনিকে পাওয়া যায়নি।
ভান্ডারিয়া থানারন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিকুজ্জামান জানান, ঘটনা জানার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য ক্লিনিকের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন হবে।
ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. বর্নালী দেবনাথ জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই ওই ক্লিনিকে কোন কর্তব্যরত কোন ডাক্তার পাওয়া যায়নি। জানতে পারি তিনজন নার্স এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।