4:22 pm , August 16, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে মোশতাক, ডালিমের সঙ্গে জিয়াউর রহমানও সমান তালে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের এক সপ্তাহ আগে গুলশানের একটি বাড়িতে খুনিদের সাথে বৈঠক করেছিলো জিয়াউর রহমান। সেখানে কিলিং প্ল্যান চূড়ান্ত করেছিলো জিয়াউর রহমান। এই জিয়াউর রহমানের কিলিং প্ল্যানের ফসলই হলো ১৫ আগস্ট। ওই স্বপরিবারে হত্যা করা হলো শেখ মুজিবুর রহমান। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান যদি জড়িতই না থাকবে তাহলে কেন জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হলো? কেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে? কেন বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রর নাম পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ রাখা হয়েছে -প্রশ্ন রাখেন তিনি। বাংলাদেশ হঠাৎ করে স্বাধীন হয়ে যায়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজ যারা বড় বড় কথা বলে, স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে, যারা স্বাধীনতা দিবস স্বীকার করলেও বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করতে চায় না, তাদের কাছে প্রশ্ন তখন কোথায় ছিলো জিয়াউর রহমান? কোথায় ছিলো তার অবস্থান? তিনি বলেন, ৫২ তে জিয়াউর রহমান নাই, ৬২তে জিয়াউর রহমান নাই, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনে জিয়াউর রহমান নাই, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাতে জিয়াউর রহমান নাই, গণঅভ্যূত্থানে নাই। বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের কোথাও জিয়াউর রহমানের দেখা মেলেনি। জিয়াউর রহমানকে দিয়ে কালুরঘাট থেকে বক্তব্য দেওয়ানো হল-আর দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো, বিষয়টি এমন নয়! বাঙ্গালী জাতি এটি বিশ্বাস কখনই করবে না বলেও যোগ করেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ঠেকাতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র করে কেউ এই উন্নয়নে ঠেকাতে পারবেনা। এজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজাহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সংগঠনের নেতারা।