4:15 pm , August 14, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে পালাক্রমে শিশু ধর্ষন ও হত্যায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হয়েছে। সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ দ- দেন। দ-িত তিন জনের মধ্যে দুই জন আদালতে উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন বিশেষ পিপি এ্যাড. ফয়েজুল হক ফয়েজ। তিনি জানান, দ-িত বাছেত খান ওরফে বাঘা পলাতক রয়েছে। উপস্থিত ছিলেন শাহারিয়া খান ওরফে শাকিল ও ইমাম হোসেন হাওলাদার। পলাতক বাঘা নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোডের খান সড়কের বাসিন্দা মরহুম আজিজ খানের ছেলে। শাকিল একই এলাকার মতিয়ার রহমান খানের ছেলে ও ইমাম ওই এলাকার আব্দুস ছালাম হাওলাদারের ছেলে।
গনধর্ষন হত্যার শিকার শিশু তন্বী আক্তার (৯) একই এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা দিনমজুর টুনু পালোয়ানের কন্যা। তন্বী নগরীর নবগ্রাম রোড ফজলে উলুম মাদ্রাসার নার্সারীর ছাত্রী ছিলো।
মামলার বরাতে বলেন, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটায় শিশু কন্যা তন্বী আক্তার তার বাবাকে খুজতে বের হয়। পথিমধ্যে দ-িত শাকিল খান শিশু তন্বীকে ফুসলিয়ে পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে শিশু তন্বীর মুখ বেধে শাকিল, বাঘা ও ইমাম হোসেন পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খান সড়কের পাশে একটি ডোবায় ফেলে রাখে। পরদিন শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর বাবা টুনু পালোয়ান অজ্ঞাতদের আসামী করে কোতয়ালী মডেল থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে।
মামলার তদন্ত চলাকালে শাকিল খান ও ইমাম হোসেনকে সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করা হয়। তারা তন্নীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয় এবং ঘটনার সঙ্গে পলাতক বাছেদ খানও জড়িত বলে জানায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মো. মশিউর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২২ জুন আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। বিচারক মামলার ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে মামলার রায় দিয়েছেন। দ-িতদের সাজা পয়োনায় জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও পলাতক বাঘার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।