4:14 pm , August 14, 2023
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর কালু শাহ সড়ক ও তালুকদার সড়কসহ ১৫ নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মাঠে নেমেছেন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সামজিদ কবীর বাবু। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীসহ তার ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও সংবাদপত্রে সংবাদ পরিবেশন করেছে। গতকাল দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকায় সাবেক ও বর্তমান দুই মেয়রের বাড়ি ডুবে থাকা সংবাদ দেখে তিনি নিজস্ব উদ্যোগে ওই এলাকার ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। সরেজমিনে সোমবার দুপুর বারোটায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর বাবু, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম তালুকদার এবং স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুর রহমান টিপুসহ কয়েকজনকে দেখা গেল কালু শাহ সড়ক সংলগ্ন তালুকদার লেনের ভিতরে ড্রেনে আটকে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছেন। এটা এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দা ডাক্তার বাড়ির ঠিক পিছনের অংশ। ড্রেনের উত্তরপাশ পুরোটাই দখল করে দালন বানিয়েছেন ডাক্তাররা। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার অর্ধেক ভেঙ্গে দিয়ে গেছেন। বাকীটা নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গার কথা থাকলেও তা আজ পর্যন্ত সরায়নি বলে অভিযোগ জানালেন কয়েকজন বাসিন্দা।
আওয়ামী লীগ নেতা হালিম তালুকদার জানান, কাউন্সিলর বাবু এখনো দায়িত্ব পাননি, কিন্তু তিনি নিজ উদ্যোগে যে পরিচ্ছন্নতা ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মাঠে নেমেছেন এটা আমাদের উৎসাহিত করেছে। এর আগে গত বুধবার তিনি নবগ্রাম রোডের জমে থাকা পানি সরাতে ভেকু দিয়ে খালের দুপাশে ও ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছেন।
হালিম তালুকদার আরো বলেন, নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে এভাবে কাজ করেন তাহলে আমার বিশ্বাস নগরীতে কোনো জলাবদ্ধতা থাকবেনা।
এই এলাকার বর্তমান কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন খান। তিনি নগরীর জলাবদ্ধতার জন্য সাবেক মেয়রদের খাল বন্ধ করে সড়ক তৈরি ও ড্রেন ছোট করে ফেলাকে দায়ী করেন।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সামজিদ কবির বাবু এখনো দায়িত্ব পাননি। আগামী অক্টোবরে হয়তো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন কিন্তু তার আগেই নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এর সহযোগিতা নিয়ে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করতে চান তিনি। বাবু বলেন, জনগণের কষ্ট দূর করতে দায়িত্ব গ্রহণ জরুরী নয়, মনের ইচ্ছে ও পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা জরুরী। নবনির্বাচিত মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী এর সাথে কথা হয়েছে। তারা দুজনেই জানিয়েছেন আগামী ছয়মাসের মধ্যে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে এবং এই বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো জলাবদ্ধতা থাকবে না।