নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা - ajkerparibartan.com
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা

4:22 pm , August 8, 2023

কাজী মিজানুর রহমান ॥ সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর নি¤œাঞ্চল প্লাবিত,অধিকাংশ সড়ক পানির নীচে চলে যাওয়া,বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পানি প্রবেশ, যানবাহন চলাচলে বিপত্তি,নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ সবকিছু মিলে নগরবাসীর জীবন দুর্বিষহ ও স্থবির। ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না নগরবাসীর। ‘৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলংকারী সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসের পানি পরের দিনই নেমে গিয়েছিলো।পরবর্তী সময়ের বন্যা,অতিবৃষ্টির পানি দীর্ঘস্থায়ী জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেনি। তাহলে এখন কেন এই দুর্ভোগ ? -প্রথমেই আসে বর্তমান ৫৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নগরীর অপরিকল্পিত নগরায়ন। ‘৯২ সালে বরিশাল জেলা যখন বিভাগে উন্নীত হয়, তখন থেকেই বরিশাল নগরে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর তাতে গতি আসে। পদ্মা ব্রীজ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের কারনে বরিশাল এখন ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে আকর্ষণীয়। অনেকটা অপরিকল্পিতভাবে যেখানে সেখানে ভবন/অবকাঠামো নির্মানের ফলে নি¤œভূমি, কৃষি জমি, পুকুর, জালের ন্যায় বিছিয়ে থাকা নালা, প্রাকৃতিক জলাধারসমূহ ভরাট হয়ে গিয়েছে। যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়া এবং ভূমিখেকোদের দৌরাত্মে, যোগসাজশে এবং কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এখনও তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে অব্যাহত আছে।
দ্বিতীয়ত, বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। ভবনের চারদিকে যতটুকু স্থান ফাঁকা রাখা বাধ্যতামূলক; তার অন্তত ২৫% ভাগ খোলা রাখার নিয়ম। অর্থাৎ, খোলা স্থানটুকু কংক্রিট দিয়ে ঢাকা যাবে না। খোলা স্থান দিয়ে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। নিয়ম মেনে ভবন তৈরী করা হয়েছে এমন সংখ্যা হাতে গোনা। নির্মিত ভবনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা করা হয় না। ছাদে এবং ভবনের নিচে আঁধারে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন ব্যবস্থা থাকলে জলাবদ্ধতা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে থাকবে, একই সাথে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের উপর চাপ কমে আসবে। এক গবেষনায় বলা হয়েছে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং ভবন সংলগ্ন উঠান খালি রাখলে বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা ৬০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । নাগরিকদের অনুমোদিত প্লানের ভিত্তিতে বাড়ি তৈরী করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন ও নগর উন্নয়ন (প্রস্তাবিত) কর্তৃপক্ষকে তদারকি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন ব্যত্যয় না হয়।  বরিশাল নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেকটা নাজুক। এর ব্যবহার উপযোগিতা নাই বললেই চলে। অনেকটা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এবং অপরিকল্পিতভাবে জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য তৈরী করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কোন কোন ক্ষেত্রে মাস্টার ড্রেনের সাথে প্রাইমারী ড্রেনের সংযোগ নেই, থাকলেও তলদেশের উচ্চতার পার্থক্য থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না। নবগ্রাম রোডের খাল ভরাট করে বটতলায় তিন তলা মার্কেট নির্মান নগরীর জন্য আত্মঘাতী হয়েছে। জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টিতে এখানে সবার আগে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালের উপরের ব্রিজ ভেঙে কালভার্ট নির্মান করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ড্রেনের নীচে মাঝেমাঝে ঢালাই না করে ফাঁকা রাখার নিয়ম উপেক্ষিত। কংক্রিটের স্তর না থাকলে পানি মাটি চুইয়ে ভূগর্ভে প্রবেশ করে পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া ড্রেন এবং খাল নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্ন না করার অভিযোগ আছে।  নগরীর মধ্যে এক সময় তেইশটি খাল এবং চব্বিশটি সংযোগ খাল প্রবাহিত হতো বলে জানা যায়। তন্মধ্যে বেশিরভাগ খালের অস্তিত্ব নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে ছোট ছোট ড্রেন বানানো হয়েছে। যে ২২/২৩ টি খালের কথা বলা হয় সেগুলো দখল, দূষণ এবং নাগরিকদের অপরিণামদর্শী আচরনের কারনে অস্তিত্বহীন। মাত্র ৩/৪ টি খালে কোনরকম জোয়ার ভাটা হয়। খালের উপর ও নীচ অপচনশীল বর্জ্য বিশেষত প্লাস্টিক এবং পলিথিনের পুরু স্তর জমা এবং দুই পাড়ের বাসিন্দাদের অপদখলের কারনে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং সুয়ারেজ সংযোগের কারনে এইসব খালের ব্যবহার উপযোগীতা নেই। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে খালগুলো কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। অথচ এক সময় জেলখাল, নবগ্রাম খাল,সাগরদী খালে স্রোত ছিল। নালাগুলো বেয়ে পানি খালে পড়তো। বড় বড় নৌকা মালামাল পরিবহন, গয়না যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করতো। খালে মাছ ধরে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতো যা সবই এখন ইতিহাস। নবগ্রাম খালটি বটতলা এলাকায় পাকা ড্রেন। নবীন প্রজন্মের কাছে মনে হবে এগুলো শুধুই গল্প। বছর ২/৩ আগে একবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব কর্মী এবং অর্থায়নে জেলখাল, সাগরদী খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছিল। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, জেল খাল থেকে উঠে এসেছে শতমণ পলিথিন আর প্লাস্টিক বর্জ্য। এই তথ্য নাগরিকদের জন্য কোন ভাল বার্তা নয়। একটি নগরের বাসিন্দা হিসাবে জলাবদ্ধতা দূরীকরনে নাগরিকদেরও ভূমিকা রয়েছে। কারন শুধুমাত্র একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর পক্ষে বিশাল এই কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন করা সম্ভব না।। আমরা যদি যত্রতত্র অপচনশীল দ্রব্যাদি বিশেষত প্লাস্টিক বর্জ, পলিথিন সামগ্রী, টিনের কৌটা, নারিকেলের খোসা ইত্যাদি ড্রেন, নর্দমা, খালে এমনকি নদীতে ফেলি সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। পানি নামতে বিলম্ব হয়। নি¤œাঞ্চলের বাসিন্দা, কর্মজীবি মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। আমাদের আচরনেও সুনাগরিকের ছোঁয়া থাকা চাই।  এবারের সিটি নির্বাচনে কয়েক লাখ ব্যানার,পলিথিন মোড়ানো পোস্টার, বিলবোর্ড বাড়তি জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।  আমাদের প্লাস্টিক এবং পলিথিন ব্যবহার ত্যাগ করে পাটের ন্যায় পচনশীল এমন দ্রব্যাদি ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। সস্তায় পাটের গার্বেজ ব্যাগ উৎপাদন এবং প্রাপ্যতা সহজলভ্য করে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তাছাড়া আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে দূরে থাকার আর সময় নাই।  এক সময় নগরীতে তিন হাজারের বেশী পুকুর ছিল আর এখন হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পুকুর আছে। তাও আবার মাঝেমধ্যে গোপনে ভরাট করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভাটিখানায় একটি পুকুর রাতের আঁধারে বালি ফেলে একাংশ ভরা হয়েছে। আশার কথা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রচেস্টায়, আইনের আওতায় ঝাউতলার পুকুরটি আপাত রক্ষা করা গেছে। জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর ধারা ২(চ) অনুসারে ব্যক্তিগত পুকুর ও অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করে দেয়া মহামান্য হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হয়েছে এবং এক (১) বছরের মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডিয় পুকুরগুলো জলাধার আইন ২০০০ এর ২(চ) এ উল্লেখিত প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে নগরীর পুকুরগুলো ভরাটের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করা যায়।  সরকারি, বেসরকারি পুকুর,জলাশয় ভরাটের ফলে বৃষ্টির পানি উপচে উঠে বাসা বাড়ি, দোকানপাট,রাস্তাঘাট ডুবিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি জনজীবন এবং পরিবেশের জন্য অত্যন্ত আশংকাজনক।পুকুর, জলাশয় ভরাট করার প্রচলিত আইনকে উপেক্ষা করে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে অচিরেই আমরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হব।ভবিষ্যতে যাতে খাল ভরাট করে ড্রেন নির্মান না করা হয় সে দিকে সবার নজর রাখতে হবে। খালের উপর কালভার্ট ভেঙে পুল তৈরী করা প্রয়োজন। প্রচলিত সকল আইন মেনে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা ছাড়া গতান্তর নাই।  ব্যক্তি তাঁর জীবনের প্রয়োজনে পুকুর ভরাট করে। তাকে বাসস্থান বানাতে হবে, ব্যবসা বানিজ্য করতে হবে, কাজেই তাঁকে নিবৃত্ত করা কঠিন। অন্যদিকে,রাষ্ট্রকে জলাশয় রক্ষা করতেই হবে। প্রয়োজনে এগুলোকে জলবায়ু ট্রাস্ট এর অর্থায়নে অধিগ্রহণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।  জলবায়ু বিপর্যয়ের কারনে, পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে মেরু অঞ্চলের গ্রীনল্যান্ড, আর্কটিক, এন্টার্কটিকা এবং হিমালয়ের বরফগলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা স্থায়ীভাবে বেড়ে যাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় জলোচ্ছ্বাস,উঁচু জোয়ারের প্রভাবে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে দুকূল প্লাবিত করছে। কখনো নদীর পানির উচ্চতা বেশী হওয়ায় এবং অপরিচ্ছন্ন, অপরিসর ড্রেনের কারনে নগরীতে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদীতে নামতে পারছেনা। নদীর পানির উচ্চতা না কমা পর্যন্ত শহরে জলাবদ্ধতা থাকছেই।নদীরপানি কমলেও নগরির পানি সমান হারে কমছে না। নদী ব্যবস্থাপনায়ও জনগন খুশী নয়। ড্রেজিং করে সেই বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে। জনগনের অর্থ নদীতেই জলাঞ্জলি দিচ্ছে। নদীর তলদেশে পলিথিন, প্লাস্টিক এবং পলি জমে নাব্যতা হ্রাস নগরে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারন।নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় পানির ধারন ক্ষমতা কমে গেছে।  এখন প্রশ্ন এভাবে কতকাল চলবে? নাগরিক ভোগান্তির কি শেষ নেই, প্রাচ্যের ভেনিস কি তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে? জবাব খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
আপাতত :- নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের “প্রিপারেশন অব ডেভেলপমেন্ট প্লান ফর বরিশাল ডিভিশনাল টাউন” শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। এই মহা পরিকল্পনা গেজেট আকারেও প্রকাশিত।(প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১০ -২০৩০) কিন্তু অগ্রগতি থমকে আছে। অবিলম্বে একে কার্যকারিতা দিতে হবে।  এই প্রকল্পে খাল সমুহ দখলমুক্ত, সংরক্ষণ ও বিনোদন সুবিধা সম্বলিত ডিটেইলড এরিয়া প্লান প্রনয়ন করা হয়েছে।শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ পরিকল্পনা এবং একই সাথে প্রাইমারী -সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি এই তিন শ্রেণীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে যেন শহর তলিয়ে না যায় সে কারনে তিন হাজার জলাধার সংরক্ষনের উপর জোর দেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনায় শহরের পুকুর সংরক্ষণের কথা বলা আছে। দ্রুত মাস্টার প্লান অনুমোদন, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, ওয়াসা,এবং গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা না হলে যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি,নির্মান নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবেনা।  দখলকৃত সকল খাল উদ্ধার করে স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপন এবং মান সম্মত পুনঃখননের কোন বিকল্প নাই।  বরিশাল সিটি কর্পোরেশন খাল পুনঃখনন ও সংরক্ষণ, সবুজায়ন, ওয়াকওয়ে নির্মানের জন্য প্রায় ২৫০০কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব প্রেরণ করেছিল কিন্তু সেটা অনুমোদন পায়নি। তারপরও যে কোন বিবেচনায় ব্যর্থতার দায়ভার কর্পোরেশনের।  অতিবৃষ্টি, বন্যা এবং নদীর জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে নগরীর নি¤œাঞ্চল, রাস্তাঘাট, নীচু ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়া আর বৃষ্টির পানি নামতে “ফ্লাড কন্ট্রোল মহাপরিকল্পনার” আওতায় নগরীর চারপাশ দিয়ে বহমান নদীর পানি খালের প্রবেশমুখে বোটপাস (ডিজিটাল নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা)/গেট স্থাপন করে উচু জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ এবং নগরীতে জমা হওয়া বৃষ্টির পানি পাম্প হাউসের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা গেলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, ঘূর্নিঝড় বাংলাদেশের সমগ্র উপকূলীয় এলাকার জন্য অশনিসংকেত। এটা জলবায়ূ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আলামত এবং বৈশ্বিক সমস্যা। আগামী ৫০ বছরে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের ৩০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা আছে। এখন থেকেই সচেতন হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্তৃপক্ষ এবং অংশীজনকে সাথে নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের উপায় নিশ্চিত আবশ্যক। দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিককে সোচ্চার এবং দায়িত্বশীল হতে হবে।
লেখক : বরিশালের সাধারন নাগরিক সমাজ (বসানাস) আহবায়ক।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT