4:09 pm , August 8, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অতিভারি বৃষ্টিপাত কমলেও জনগুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়কে এখনও হাটুপানি থাকায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর অবিরত গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তি এড়াতে সড়কে মানুষের উপস্থিতি ছিলো কম। ভোগান্তি এড়াতে কর্মজীবী ও জরুরী কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি। এই সুযোগে স্থানীয়দের জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর নি¤œাঞ্চলের অধিকাংশ টিনের ঘর, অর্ধপাকা এবং পাকা ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে থাকায় দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার বৃষ্টি কমলেও নগরীর অধিকাংশ সড়কগুলোতে এখনও পানি জমে আছে। নগরীর বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সড়ক, বটতলা আদম আলী হাজির গলি, অক্সফোর্ড মিশন রোড, করিম কুটির, কলেজ এভিনিউ, গোরস্থান রোড, বগুড়া রোড, বিএম স্কুল সড়ক, রূপাতলী হাউজিং, ধানগবেষণা সড়কের খ্রিস্টান কলোনী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপাদা কলোনী, পার্শ্ববর্তী শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টার, কালুশাহ সড়ক, কাজিপাড়া এবং কাউনিয়া এলাকার বেশ কিছু সড়কে এখনো পানি জমে আছে। এর মধ্যে বগুড়া রোড, বটতলা, কলেজ এভিনিউ এবং গোরস্থান রোড এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটু পানি রয়েছে। বটতলা দুই লেন সড়কের একলেনে যানবাহন চললেও অপর লেনে বেশি পানি জমায় যানবাহন চলছে না।
নগরীর প্যারারা রোডের বাসিন্দা আরাফাত মোল্লা জানান, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির পানি ঘরে মধ্যে ঢুকে রয়েছে। ঘরে বাইরে সব জায়গায় পানি থাকায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে জীবন কাটছে। এই দুর্ভোগ থেকে অবিলম্বে মুক্তি চাই।
নগরীর গোরস্থান রোডের মোবারক হাওলাদার জানান, বৃষ্টিতে পানি জমে মানুষের ঘরের মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় রান্নাও করতে পারিনি। স্থানীয় কিছু যুবক রান্না করা খাবার দিয়ে যাচ্ছে। তা খেয়েই দিন কাটাচ্ছি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, গত ৭ আগস্ট বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ১৫৪.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ৭ আগস্ট বিকাল ৩টার পর থেকেই অতিভারি বৃষ্টি কমতে শুরু করে। তবে এখনো পুরোপুরিভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৮.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পাবে। এই সময়ে অতি ভারি ও ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হতে পারে। বর্ষা মৌসুম চলমান থাকায় মাস জুড়ে কমবেশি বৃষ্টিপাত ঘটবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।