4:20 pm , August 5, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাছের চারা বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বরিশাল জেলা প্রশাসন। বরিশাল সার্কিট হাউজে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী, ডিআইজি মো. জামিল হাসান, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সার্কিট হাউজে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তৎকালীন সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। দেশে আধুনিক ফুটবলের ধারণা তিনিই নিয়ে আসেন। তাঁর চেষ্টায় আবাহনীর মতো সফল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট শেখ কামাল ছায়ানটসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং নিজেও সেতার বাজাতেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। অন্যান্য বক্তারা বলেন, শেখ কামাল ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক। খেলাধুলায় রয়েছে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান। টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকায় আসার পর শৈশবে সেগুনবাগিচা নর্থ-সাউথ রোড ও বিজয় নগরের মাঝের মাঠটিতে তিনি খেলাধুলা করতেন। তিনি ১৯৬৭-৬৮ এর দিকে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় একটি মাঠে খেলতেন। তিনি ধানমন্ডি মাঠেও খেলাধুলা করতেন। অত্র এলাকায় তখন শিশু ও তরুণদের জন্য কোন ক্লাব ছিলনা। এক্ষেত্রে তিনিই প্রথম উদ্যোগী হন। প্রথমে তিনি আবাহনী সমাজ-কল্যাণ সংস্থা গড়ে তোলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতেই তিনি এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শুধু ফুটবল নয়, আবাহনী ক্রীড়াচক্রের অধীন তিনি হকি, ক্রিকেট এবং টেবিল টেনিস দলও গঠন করেন। ক্রীড়াঙ্গনের সর্বক্ষেত্রেই তার দল জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বরিশাল জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইজি মোঃ জামিল হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্বাস উদ্দিন খান, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএম মহিউদ্দিন মানিক। স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক গৌতম বাড়ৈ। এসকল অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।