4:24 pm , August 2, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার অল্প নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল এরইমধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া ওয়াটার লেভেলের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (০২ আগষ্ট) বিকেল পৌনে ৫ টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে বিকেলে ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোলা খেয়াঘাটের তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার এবং বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে পিরোজপুরের বালেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৩৬ সেন্টিমিটার এবং উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে বরিশালের উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জের বুড়েশ্বর, কাইটপাড়ার লোহালিয়া, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে বিভাগের নি¤œাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার পানি নেমে যাবে।