4:00 pm , July 31, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর কাশিপুরে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে আহত আরো এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার একদিনপর রোববার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
শনিবার সকাল আটটার দিকে কাশিপুর বাজারে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে বিক্রেতা সাবেক সেনা সদস্যর সাথে বাজারের সবজি বিক্রেতাদের দ্বন্ধ হয়। এ ঘটনায় সাবেক সেনা সদস্যর ছুরিকাঘাতে ওই দিন সবজি বিক্রেতা মো. কামাল হোসেনের (৩৮) মৃত্যু হয়। এছাড়াও ছুরিকাঘাতে আরো ৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত আলমগীর হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাগ্নে শহিদুল ইসলাম।
মৃত আলমগীর (৪০) নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ড দিয়াপাড়া দিঘির পাড় এলাকার তিনু মাঝির ছেলে। সে কাশিপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এর আগের হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিষয়টি সংযুক্ত হবে। নতুন করে আর কোন মামলা হবে না। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।
শনিবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন অপর নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম। মামলায় ছুরিকাঘাত করা মরিচ বিক্রেতা ও সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানাকে একমাত্র আসামী করা হয়েছে। সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল সোহেল রানা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহেরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। নগরীর ইছাকাঠি সড়কের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা কাশিপুর বাজারে মুদী ও কাঁচামাল বিক্রেতা। নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ হোসেন বলেন, কাশিপুর বাজারের সামনে কমদামে সবজি ও কাচা মরিচ বিক্রি করছিলো সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারির ও ছুরিকাঘাতে ৬/৭ জন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানিয়েছেন, কাশিপুর বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করে। সোহেল রানা বাজারের সামনে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করে। তখন নিহত কামালসহ আহতরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করে। কিন্তু সোহেল রানা রাজি হয়নি। এতে তাকে বাজারের সবজি বিক্রেতা কয়েকজন মিলে বেধরকভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটা ছুরি দিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। তার এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে নিহত কামালসহ চারজন জখম হয়। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পর কামালকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে। নিহত কামাল নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাশিপুরের সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে। আহত হয়েছেন কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪০), তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও অপর ভাই মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫), এবং একই এলাকার মৃত মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেক (৬০)। ঘটনায় আহত ছুরিকাঘাতকারী ও সাবেক সেনা সদস্য মো. সোহেল রানা (৫০) পুলিশ প্রহরায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।