3:21 pm , July 31, 2023

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী ॥ কাউখালী উপজেলার মাদ্রাসাগুলোতে এবছর দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। অধিকাংশ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি । বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা স্বল্প । এরমধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থীর চেয়ে অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাশ পরীক্ষা নেয় না। কাউখালীতে এবার ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে উপজেলার ১২টি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল মোট ৩১০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১১৬জন অকৃতকার্য হয়েছে ১৯৪ জন এবং উপজেলা থেকে একটিও জিপিএ-৫ পায়নি। পাসের হার ৩৭.৪ শতাংশ।
উপজেলার ১২ টি মাদ্রাসার মধ্যে দাখিল পরীক্ষায় পঞ্চগ্রাম সম্মিলিত দাখিল মাদ্রাসায় ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও পাস করেছেন ২ জন । সপ্তগ্রাম সম্মিলিত দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩ জন, পাস করছে ৬ জন। কাউখালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৭ জন, পাস করেছে ৮ জন, দারুসুন্নাত সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫৪ জন, পাস করছে মাত্র ১৬ জন। পারসাতুরিয়া ছালেকিয়া মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ২৩ জন পাস করছে ৭ জন। বিজয়নগর আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১৬ জন, পাস করেছে ৬জন।
উপজেলার ১২টি মাদ্রাসার মধ্যে ভালো রেজাল্ট করেছে বেতকা মাহমুদিয়া মাদ্রাসা। এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, এ বছরের দাখিল পরীক্ষার ফল কাউখালীতে মোটেও ভালো হয়নি। আমি প্রতিটি মাদ্রাসা প্রধানের সাথে কথা বলেছি। তাদের ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ কি এ নিয়ে একটা সভা করবো এবং তাদের মতামত গ্রহণ করবো।
কাউখালী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মাহমুদ ইসলাম জানান, এ বছর যারা দাখিল পাস করেছে তারা গত করোনার সময় অষ্টম শ্রেণিতে অটো পাস করছে। আমরা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারিনি। তাই তুলনামূলকভাবে আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।