4:15 pm , July 30, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কমদামে মরিচ বিক্রি নিয়ে মারামারিতে সবজি বিক্রেতা খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করা হয়েছে। নিহত সবজি বিক্রেতা কামাল হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামী করা হয়েছে মরিচ বিক্রেতা সোহেল রানাকে (৫০) আসামী করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল সোহেল রানা বাউফল উপজেলার সিংহেরকাঠি গ্রামের সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে ইছাকাঠি সড়কে ভাড়াটিয়া ও কাশিপুর বাজারে মুদী দোকানও রয়েছে।
বাদী অভিযোগ করেন আসামী সোহেল রানা কাশিপুর বাজারে প্রবেশ মুখে কাঁচামালের ব্যবসা করে। সেখানে ব্যবসা করতে নিষেধ করে নিহত সবজি বিক্রেতা কামাল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তখন স্বামী কামালকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪০), তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও অপর ভাই মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেককে (৬০) কুপিয়ে আহত করেছে। পরে স্থানীয়রা সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ভ্যান গাড়ীতে করে কমদামে সবজি ও কাচা মরিচ বিক্রি করছিলো সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারির ও ছুরিকাঘাতে ৬/৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানিয়েছেন, কাশিপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করে। সোহেল রানা বাজারের সামনে এসে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজিদরে মরিচ বিক্রি করে। তখন নিহত কামালসহ আহতরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করে। কিন্তু সোহেল রানা রাজি হয়নি। এতে তাকে বাজারের সবজি বিক্রেতা কয়েকজন মিলে বেধরকভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটা ছুরি দিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। তার এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে নিহত কামালসহ চারজন জখম হয়। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পর কামালকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলার আসামী সোহেল রানা পুলিশ প্রহরায় শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত কামালের লাশ ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।