4:16 pm , July 26, 2023

দ্রুত পাইপলাইনে গ্যাস ও ফোরলেন সড়কের দাবি
আরিফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক ॥ গত ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। আর এই এক বছরে বাণিজ্যিক সুফল না পেলেও গণ পরিবহনের চাপে অস্থির বরিশালবাসী। পাঁচ হাজার ইজিবাইক ও অটোরিকশার স্থান দখল করেছে বারো হাজার ইজিবাইক ও আড়াই হাজার অটোরিকশা। আগেই আড়াই হাজার সিএনজি চলমান থাকলেও নতুন করে আরো ৫০০ সিএনজি অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। আর পদ্মা সেতুর সুফল নিয়ে মহাসড়কে যানবাহনের চাপতো লেগেই আছে।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করেন। আর এটি ২৬ জুন থেকে উম্মুক্ত হয়েছে দেশবাসীর জন্য। চলতি বছর ২৬ জুলাই পদ্মা সেতুর বয়স হলো এক বছর একমাস। আর টোল প্লাজায় ইতিমধ্যেই আয় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পদ্মা সেতু তৈরির পর এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা। এরফলে বরিশালের সাথে ঢাকার দূরত্ব অনেক কমে গেছে। সর্বোচ্চ মাত্র সাড়ে তিনঘণ্টা সময়ে বরিশাল থেকে যেকোনো পণ্য নিয়ে ঢাকায় যেতে পারছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। তবে এরপরেও কিন্তু যথাযথ সুফল বঞ্চিত বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। কারণ যানজট ও ভোলা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস আসার বিষয়টি আজও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এ নিয়ে চলছে জোর আন্দোলন। যদিও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করছেন, পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার। শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি, পর্যটন, শিল্পসহ নানা ব্যবসার প্রসার ঘটেছে এই সেতুর মাধ্যমে। এ সেতুর ফলে বদলে গেছে দক্ষিণের কৃষিভিত্তিক অর্থনিতির চিত্র। দেশের গ-ি পেরিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি, বিশেষ করে সবজি রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে। যোগাযোগ সহজ হওয়ায় রাজধানী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের পদ্মা পাড়ের জাজিরায় বেড়েছে সবজির চাহিদা। শুধু তাই নয়, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে গত চার মাসে ইউরোপের বাজারে ২১৬ মেট্রিকটন সবজি রপ্তানি করে ২৩ লাখ ইউরো আয় করেছে শরিয়তপুরের কৃষকরা। তবে এটা গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও শরিয়তপুরের জন্য সুফল বয়ে আনলেও বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এখনো বাণিজ্যিক কোনো ফায়দা আনতে পারেনি বলে দাবি বরিশালের কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজের।
নগর চিন্তাবিদ ও সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফোর বা চারলেনে উন্নীত না হলে এবং পাইপলাইনে গ্যাস সুবিধা না পেলে কোনো সুফলই পাবেনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। উল্টো যানজটের চরম ভোগান্তি সইতে হচ্ছে এখন বরিশালবাসীকে।
বরিশাল অর্থনীতি সমিতি ও সাহিত্য সংসদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে বরিশালের প্রধান বাধা ভোলার গ্যাস ও ফোরলেন সড়ক দুটোই। পাশাপাশি রয়েছে বিভাগ হওয়ার ২১ বছর পরও আঞ্চলিক কার্যালয়জনিত সমস্যা।এখনও বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠান খুলনা বিভাগের ওপর নির্ভরশীল বলে জানালেন তিনি।
বরিশালের সুশীল সমাজের নেতা মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক মহিউদ্দিন মানিক, সামাজিক আন্দোলনের নেতা এনায়েত হোসেন শিবলু, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত চৌধুরীর মতে, পটুয়াখালীর পায়রা বা লেবুখালী সেতু চালুতে বরিশাল তথা এ বিভাগের ছয় জেলার ভাগ্যোন্নয়নের বানিজ্যিক দ্বার উম্মুক্ত হয়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সাথে সাথে বাণিজ্যিক যাত্রায় আরো একধাপ এগিয়েছে বরিশাল এটা চরম সত্যি । তবে এ যাত্রার সাফল্য পেতে হলে দক্ষিণের মহাসড়ক ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত দ্রুত চারলেনে উন্নীত করা এবং ভোলা থেকে পাইপলাইনো গ্যাস আসা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে খুলনা নির্ভর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বরিশাল নির্ভর হতে হবে। এটা হলেই বাণিজ্যিক নগরী হবে বরিশাল এবং এর সুফল পাবে বিভাগের ছয় জেলাসহ খুলনা জোনের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ।
তাদের মতে, পদ্মা সেতু চালু হবার ফলে বরিশালের ছয় জেলা ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ২১টি জেলা – খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা। বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি এবং ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী। এতে আগামী উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন এই ২১ জেলার মানুষ। কেননা, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন সহজ হয়েছে। পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ কাড়তে শুরু করেছে, গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি শীঘ্রই বাড়তে শুরু করবে কর্মসংস্থানও। তবে কর্মসংস্থান যেহেতু শিল্পকারখানা নির্ভর তাই শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য গ্যাসের নিশ্চয়তা দিতেই হবে।
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার স্বপ্নদ্বার মূলত খুলে গেছে ২০১৩ সালেই। এমনটা দাবী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুসের। তিনি বলেন, পটুয়াখালীর লেবুখালী বা পায়রা সেতুর নির্মাণ সূচনা মাত্রই বরিশালের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার পর দ্রুত গতিতে কাজ শেষ হয় ও ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হয়। ২৫ অক্টোবর তা সাধারণ মানুষের জন্য উম্মুক্ত হয়। নদীমাতৃক বরিশাল বিভাগের ভোলা বাদে অন্য পাঁচটি জেলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরাসরি যানবাহনের যোগাযোগ স্থাপন হয় এই সেতু চালুর ফলে। কুয়াকাটা সহ পটুয়াখালী, বরগুনা ও সুন্দরবন অঞ্চলের নৈসর্গিক দৃশ্য উম্মুক্ত হয় এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পদ্মা ও পায়রা সেতুকে ঘিরে তাই বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠতে শুরু করেছে হোটেল-মোটেলসহ বহু ছোট-বড় শিল্পায়ন-কল-কারখানা। যার অন্যতম প্রমাণ এখন বরিশাল বিসিক।
মোঃ ইউনুস আরো বলেন, পদ্মাসেতু চালুর তিনমাস পরেই ৪ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতু জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি চালু হবার পর খুলনা বিভাগ তথা পশ্চিমবঙ্গের সাথেও আমাদের যোগাযোগ সহজ হয়েছে এখন।
তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশালের সদস্য সচিব রফিকুল আলম বলেন, সমস্যা হচ্ছে পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কে যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত বেড়েছে। পদ্মার এপারে জাজিরা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এ পথে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিটের মতো। জাজিরা থেকে শিবচরের পাচ্চর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক। এরপর এক্সপ্রেসওয়েতে বাকি ২০ কিলোমিটার। পুরো পথে কোথাও থামতে হয় না। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে চারলেনের। কিন্তু ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কে ধীরগতির পরও দূর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। তাই এ অংশের সড়ক ফোরলেন না হলে সুফল পাবেন না বরিশাল তথা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এ বিষয়ে সহমত পোষন করছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশ গুপ্ত। গত বছর ১৮ জুন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠিত “পদ্মা সেতু এবং এর আর্থ-সামাজিক প্রভাব” শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি বলেছেন, বরিশাল অঞ্চলের রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী এবং অর্থনেতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উদ্যোক্তাদের সামনে এখন এমন অনেক জরুরী করনীয় রয়েছে যা তাদের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠি সড়ক দ্রুত চারলেনে উন্নীত করা। ঢাকা-ভাঙ্গা চারলেনের সড়ক থেকে যখন দুই লেনের সড়কে গাড়ি প্রবেশ করবে তখন গতি কমবে স্বাভাবিক ভাবেই।
পদ্মা সেতু চালু হওয়া মাত্রই যার প্রভাব পরতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের সড়কের আনাচে কানাচে। যানবাহনের চাপের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে যানজট। অন্যদিকে বাড়ছে শিল্পায়নও। পর্যটন করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগজুড়ে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এই সেতুকে ঘিরে । বিশেষ করে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও তার পার্শ্ববর্তী গঙ্গামতী, কাউয়ারচর, বরিশালসহ পদ্মার পাড় ও কীর্তনখোলা তীরের চর এলাকায় শিল্পায়নের নতুন সম্ভাবনা খুঁজতে শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া হচ্ছে পর্যটন আয়ের উৎস। আর এসব অগ্রগতিতে গ্যাস যুক্ত হলে এ অঞ্চলের মানুষের কোনো কষ্টই আর থাকবে না বলে মনে করেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু। তবে সবার আগে ভাঙা থেকে বরিশাল সড়ক চারলেনে উন্নিত করা ও ভোলা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস আসার বিষয়ের সমস্যার সমাধান করে দ্রুত গ্যাস আসা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান এই ব্যাবসায়িক নেতা। তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় শহর বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয় সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে। এটা জরুরী সমাধান করার আহ্বান বরিশালের দলমত নির্বিশেষে প্রায় সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্বপ্নের পদ্মা ও পায়রা সেতু নির্মাণ হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবন- জীবিকা বদলাতে শুরু করেছে। মানুষ এখন চার ঘন্টায় ঢাকা থেকে বরিশাল পৌঁছাতে পারছে। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চল বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিলো। এই জনপদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে পদ্মা সেতু।
বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ভোলার গ্যাসটা যদি নিশ্চিত এসে যায় আর যদি সরকারের এ অঞ্চলের উন্নয়নের স্বদিচ্ছা থাকে তাহলে গার্মেন্টস শিল্পকে গুরুত্ব দিলে সবচেয়ে লাভজনক হবে বাংলাদেশ। চিটাগং এর মতো বরিশালেও ইপিজেড স্থাপনের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। আঞ্চলিক কার্যালয় সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে বলে জানান এই তিনি।
বাসদের সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়া আর বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হওয়া একই কথা। আমাদের এখন শুধু গ্যাস দরকার হবে। আর বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো খুলনা নির্ভর। সেগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু সরকারতো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। ভোলার গ্যাস বরিশালে না এনে তা বোতলজাত করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছে। পদ্মা সেতু তৈরির আগেই ফোরলেন সড়ক নির্মাণ জরুরী ছিলো। এখনতো ভাঙা এসেই যানজটে আটকে যাচ্ছে সবাই।
বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়া মাত্রই আমাদের বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যিক যাত্রারও সূচনা হয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে বলে মনে করি আমি। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের অগ্রযাত্রায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা আমাদের দিয়েছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যন্ত গ্রামেও বাণিজ্যিক সুবিধা পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ। আমরা গ্যাস ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে সব সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ফোরলেনের কাজও শুরু হয়েছে। মাদারীপুর ও গৌরনদী অংশে জমি অধিগ্রহণও প্রায় শেষ। আমাদের বরিশাল অংশে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছুটা জটিলতা হচ্ছে। তবে দ্রুত গতিতে ফোরলেন তৈরির কাজ চলছে বলে জানান জাহিদ ফারুক।