লালমোহনের পৌর মেয়র-শ্যালকসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা লালমোহনের পৌর মেয়র-শ্যালকসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা - ajkerparibartan.com
লালমোহনের পৌর মেয়র-শ্যালকসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

3:46 pm , July 25, 2023

সাঈদ মেমন ॥ লালমোহন পৌর মেয়র ও তার শ্যালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল সমন্বিত কার্যালয়ের মামলা করেছেন সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা।
মামলার অপর দুই আসামী হলো-বর্তমানে পিরোপজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও লালমোহন পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বনিক ও লালমোহন পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. নিজাম উদ্দিন। নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বনিক গৌরনদীর চরগাধাতলী এলাকার প্রয়াত কেশব লাল বনিকের ছেলে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিজামউদ্দিন লালমোহন পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে। মামলায় পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। তুহিন লালামোহন পৌরসভাা টিএন্ডটি সড়ক মেহেরগঞ্জ এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে। শ্যালক কামাল হোসেন রিয়াজ পৌর এলাকার সওদাগর বাড়ির মো. মোতাহার হোসেনের ছেলেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বাজার এলাকায় লালমোহন পৌর অডিটোরিয়াম (পার্ট-১, পার্ট-২ ও পার্ট-৩) এর নির্মাণ কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন না করে সরকারী ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে লালমোহন পৌর অডিটোরিয়াম (পার্ট-১, পার্ট-২ ও পার্ট-৩) এর নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। নির্মাণ কাজের জন্য মোট ৩ জন ঠিকাদার দরপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে মেয়র তুহিনের শ্যালক কামাল হোসেন রিয়াজের মেসার্স রিয়াজ স্টোরকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ দেয়ার সুপারিশ করে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী কাজ শুরু হওয়ার দিন ছিলো ২০২০ সালের ২৫ মে। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিলো। ঠিকাদার কামাল হোসেন রিয়াজ কাজের ৮০ ভাগ সম্পাদন করে ওই বছরের ২১ জুলাই ৮৭ লাখ ১১ হাজার ১৪০ টাকা উঠিয়ে নেয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস রিয়াজ স্টোর পৌর অডিটোরিয়ামের বাকী কাজ সমাপ্ত না করেই নির্বাহী প্রকৌশলী বিল দেয়ার জন্য মেয়রকে সুপারিশ করেন। মেয়র চুড়ান্ত বিলের অনুমোদন করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯ টাকা উত্তোলন করেন।
গত ১৫ মার্চ গণপূর্ত বিভাগের ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি নিরপেক্ষ প্রকৌশলী টিম নিয়ে বাস্তবায়িত নির্মাণ কাজের পরিমাপ গ্রহণ করা হয়। নিরপেক্ষ প্রকৌশলী ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার কাজ সম্পাদন পেয়েছেন। পরস্পর যোগসাজসে আসামীরা ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ টাকা বেশি নিয়ে আত্মসাত করেছে। মামলা তদন্তকালে অন্য কোন ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও মামলার আসামী করা হবে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT