3:47 pm , July 23, 2023

রহিম রেজা, বিশেষ প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পুকুরে ডুবে নিহত হওয়া বলইবাড়ি গ্রামের একই পরিবারের তিনজনের স্বজনদের কান্না যেন কিছুতেই থামছে না। তাদের আহাজারীতে কাঁদছে এলাকাবাসীও। ছেলে নয়ন হাওলাতার (১৬), মেয়ে আইরিন বেগম (২২) ও আইরিনের ১৮ মাস বয়সী মেয়ে রিপা মনিকে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মেয়ে-ছেলে ও নাতি হারানো নুরুল ইসলাম ও নূরুন্নেহার। রোববার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসীর ভীড় দেখা গেছে, কাঁদছেন সবাই। কতক্ষণ কবরের কাছে আবার ফিরে এসে একেকজনকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন স্বজনরা। উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুরের বলাইবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. নুরুল ইসলাম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার তিনটা মানিক চলে গেল, ওগো আর খুঁইজা পামু না। ওদের জন্য বুকটায় পাথর চাপা পড়ে আছে। বাড়িতে তিনটা কবর কেমনে দেইখা রাখমু। আইরিনের বড় ভাই সুমন হাওলাদার (৩৫) বলেন, গত ১ জুলাই আইরিন বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বেড়ানো শেষে মেয়ে ও ছোট ভাইকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার চরমেমানিয়া গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় মারা যান তাঁরা তিনজন। পেশায় একজন দূরপাল্লার পরিবহনের চালক সুমনের ধারণা দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি অনেক পুরনো হাওয়ায় ফিটনেস ভালো ছিল না। চালক দ্রুত গতিতে চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেননি। আইরিনের স্বামী রিপন বেপারী বলেন, ‘আমি আমার দুইটা কলিজাকে হারাইলাম। ওরা আমার সংসারে আলো ছিল।’ স্ত্রী-সন্তান ছাড়া এখন আমি একা কেমনে থাকমু। চালকের জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার বিচার দাবি করেছেন তিনি।