4:35 pm , July 20, 2023
তরিকুল ইসলাম, ভান্ডারিয়া ॥ মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার চার ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলাম এ রায় রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানীতে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রাজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে শুনানীতে ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদার ওরফে আব্দুর মান্নান ডিলার ওরফে মান্নাফ, একই গ্রামের আশ্রাব আলী ওরফে আশরাফ আলী হাওলাদার, চরখালী গ্রামের মো. মহারাজ হাওলাদার ওরফে হাতকাটা মহারাজ (জামিনে) এবং নুরুল আমিন হাওলাদার (পলাতক)।
অবৈধ আটক নির্যাতন অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এই আসামিদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে ২৪ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, আসামিদের গুলিতে তিন ব্যক্তি ও এক নারীকে গুরুতর জখম, এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। চার আসামি মুক্তিযুদ্ধের সময় কনভেনশন মুসলিম লীগের সমর্থক হলেও বর্তমানে তারা জামায়াতে ইসলামির সমর্থক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন ভান্ডারিয়ার হেতালিয়া ও চরখালী গ্রামের আসামি আমীর হোসেন, ফজলুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি, আজাহার ওরফে আজু মুন্সি, নুরুল আমীন, আব্দুল মান্নান, আশরাফ ও মহারাজ পশারীবুনিয়া গ্রামের ৭ জনকে গুলি করে। এতে গঙ্গাচরন, নিরোধ চন্দ্র বালা, অমুল্য, সর্মূল্য ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর সুকুমার মিস্ত্রি মারা যান দুই দিন পর।
২০১৫ সালে নিহত নিরোধ চন্দ্রবালার ছেলে বিজয় চন্দ্র বালা বাদী হয়ে উপরোক্ত আটজনকে আসামি করে পিরোজপুর আদালতে একটি মামলা করেন। ওই বছরের ১৪ অক্টোবর বিচারক মামলাটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠান।
ইতোমধ্যে মামলার আসামী আমীর হোসেন দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা অবস্থায় পিরোজপুরে তার মেয়ের বাড়িতে মারা যান। এ ছাড়াও ফজলুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি, আজাহার ওরফে আজু মুন্সিও মামলা চলাকালীন মারা যায়। মামলার অন্য আসামি মহারাজ এবং আশরাফ ও আব্দুল মান্নান জেলে থাকলেও নুরু পলাতক রয়েছে।