4:44 pm , July 19, 2023

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে পিতার সাথে অভিমান করে নাহিদ মিয়া নামে নয় বছরের এক শিশু আত্মহত্যা করেছে। থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত নাহিদ উপজেলার পূর্ব সাপলেজা (ঝাটিবুনিয়া) গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মোঃ সেলিম মিয়ার পুত্র এবং পূর্ব সাপলেজা ফরাজী বাড়ি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নাহিদ প্রায়ই মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের মালামাল চুরি করত। এনিয়ে পরিবারের লোকজন একাধিকবার নিষেধ করলেও নাহিদ ওই কাজ থেকে ফিরে আসতে পারেনি। বুধবার দুপুরে নাহিদের বাবা সেলিম তার দুই হাত পিছমোড়া করে একটি গাছের সাথে বেঁধে চড় থাপ্পর মারে। পরে সে নাহিদকে গাছের সাথে বেঁধে মোটরসাইকেল চালাতে যায় এবং গাছ থেকে না ছাড়ার জন্য স্ত্রীকে শাসিয়ে যান। সেলিম বাড়ি থেকে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর নাহিদের মা ছেলের হাতের বাঁধন ছেড়ে দিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর নাহিদ পিতার সাথে অভিমান করে পরিবারের লোকজনের অগোচরে বসত ঘরের পাশে পরিত্যাক্ত একটি ঘরের বাঁশের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
পিতা সেলিম মিয়া জানান, নাহিদ এলাকার মানুষের মালামালের ক্ষতি করত। এনিয়ে একাধিকবার বুঝানোর পরেও সে ফিরে না আসায় গাছের সাথে হাত বেঁধে দু’টি চড় থাপ্পড় মারি। কিন্তু আমার ছেলে যে এভাবে চলে যাবে তা বুঝিনি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।