4:21 pm , July 17, 2023

নিজস্ব ও লালমোহন প্রতিবেদক ॥ ভোলার লালমোহন থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক যুবক। রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর মল্লিকপুর লালবয়া এলাকায় ঝাপ দেয় বলে মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশের এসআই আসাদুল হক গালিব। ওই যুব হলো-মোহাম্মদ মনির (২৫)। সে ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাশগঞ্জ ইউনিয়নের আসুলী গ্রামের মৃত জাফরউদ্দিনের ছেলে। এসআই আসাদুল হক গালিব বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর লালবয়া এলাকার জেলেরা জানায় এক ব্যক্তি বাচার আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছে। ওই খবর পেয়ে কালিঞ্জ নৌ-ফাড়ির এসআই ওমর ফারুক গিয়ে উদ্ধার করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
এসআই গালিব আরো জানান, যুবক মনির প্রথমে জানিয়েছে লালমোহন থেকে ঢাকাগামী এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর -৭ লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছিলেন। লঞ্চের পিছনে গিয়ে পা ধৌত করার সময় পিছলে নদীতে পড়ে গিয়েছিলো।
তাকে উদ্ধার করা ফাড়ির এসআই ওমর ফারুক বলেন, প্রথমে পা পিছলে নদীতে পড়ে যাওয়ার কথা বললেও তার মা বিবি হাজেরা এলে সত্য কথা বলেছে। তার মায়ের সামনে জানিয়েছে স্ত্রীর উপর অভিমান করেছিলো। তাই আত্মহত্যা করতে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলো। এসআই ওমর ফারুক আরো বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে এক সন্তানের জনক মনিরকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন জানান, মনিরকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় তার স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে এম.ভি গ্লোরী অব শ্রী নগর-৭ লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাতে লঞ্চের লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে সকলের অগোচরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে চলন্ত লঞ্চ থেকে সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। তবে নদীতে থাকা জেলেরা তাকে দেখতে পাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি।এদিকে, চলন্ত লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি জানেন না গ্লোরী অব শ্রী নগর-৭ লঞ্চের কেউ। এ ব্যাপারে লঞ্চের সুপার ভাইজার মো. মিন্টু ও কেবিন ইনচার্জ মো. সারোয়ারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।