4:17 pm , July 17, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা জাগুয়া ইউপির সদস্যর স্ত্রী তিন ধরে নিখোঁজ। ইউপি সদস্যর দাবি স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে। শাশুড়ীর দাবি মেয়েকে হত্যার পর গুম করা হয়েছে। তবুও মেয়েকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে চান মা। মেয়ের খোজেঁ তিনি ছুটছেন বিভিন্ন দপ্তরে। সর্বশেষ তিনি পুলিশ কমিশনার দপ্তরে গিয়ে মেয়েকে ফিরে পেতে আকুতি জানান। মেয়ে ঝুমা বিশ^াস (৩২) শনিবার ভোর রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছে। যদিও ঝুমা বিশ^াসের স্বামী জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য লিটন বিশ^াস কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। তবে ঝুমা বিশ^াসের মা শিখা সমদ্দারের দাবী তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার মো: সাইফুল ইসলাম বলেছেন, তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিখোঁজ ঝুমা বিশ^াসের মা শিখা সমদ্দার বলেছেন, বছর ১০/১২ আগে ঝুমা ও লিটন প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ঝুমার বাবার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে রাখে লিটন। ওদের সংসারে দুইটি ছেলে আছে। কিন্তু লিটন পাশের বাড়ির এক মেয়ে সঞ্চিতার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। এর পর থেকে ঝুমার উপর শুরু হয় অত্যাচার। বিভিন্ন সময়ই ঝুমাকে মেরে জখম করতো। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত থেকে আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই। লিটন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়েকে জীবিত অবস্থায় চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিটন বিশ^াস বলেন, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে আমি বাড়ির ঘাটলার দিকে ছিলাম। তখন অনেক কুকুর ডাকাডাকি করেছে। পরে আমি ঘুমিয়ে পরি। এর পর থেকে আমার স্ত্রীর কোন খোঁজখবর নেই। সে কারো সাথে পালিয়ে গেছে, না একা গেছে, জানি না। আমার ৪০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে সে। ঝুমাকে মারধর ও মেরে ফেলার অভিযোগ সর্ম্পকে লিটন বলেন, সব মিথ্যা কথা। এগুলো সত্য নয়।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, রোববার এক ইউপি সদস্য স্ত্রী’র নিখোঁজ এর বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।