লালমোহনে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ লালমোহনে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ - ajkerparibartan.com
লালমোহনে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

4:02 pm , July 17, 2023

লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে গত কয়েকদিন ধরে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত ১৬ দিনে অন্তত ৩০জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৭জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নিচ্ছেন ১২ জনের মত রোগী। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রোগীর চাপ বাড়ায় বেড সংকটে অনেককে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ফ্লোরে। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন গজারিয়া এলাকার ৩৫ বছর বয়সের যুবক মো. মহসিন। তিনি বলেন, প্রথমে প্রচন্ড কোমর ব্যথা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পুরো শরীর ব্যথা করতে শুরু করে। সঙ্গে দেখা দেয় প্রচুর জ্বরও। এনিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ খেলেও কোনোভাবেই ব্যথা আর জ্বর না কমায় হাসপাতালে আসি। এখানে আসার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এ জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
প্রচন্ড জ্বর নিয়ে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা পূর্ব রাস্তার মাথা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। তখন ডাক্তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে বলেন। এরপর টেস্ট করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তাই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
ভর্তি অনেক রোগীর অভিযোগ অতি গুরুত্বপূর্ণ যেসব ওষুধ প্রয়োজন তা হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেগুলো বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার দিপালী রাণী দে জানান, জরুরি বিভাগ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির পর বেডে পাঠানো হয়। এরপর আমাদের নার্সরা তাদেরকে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেন। প্রতিদিন রোগী বাড়ায় বেড দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনেক রোগীকে ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার অতনু মজুমদার বলেন, জুলাই মাসের প্রথম থেকে লালমোহনে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করেছে। তবে আমরা সাধ্য অনুযায়ী রোগীদের আন্তরিকতার সঙ্গে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। এছাড়া রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত যেসব ওষুধ রয়েছে তা হাসপাতাল থেকে প্রদান করা হয়।
এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো বলেন, ডেঙ্গু থেকে মুক্তির জন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সকলকে নিজের জন্য হলেও বাসা-বাড়ির আঙিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোথাও যেন বেশি দিন পানি জমে না থাকে। পানি জমে থাকলে সেখানে মশার উৎপত্তি হয়। এছাড়া সকলকে অবশ্যই মশারী টানিয়ে ঘুমাতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু আক্রান্ত থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যাবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT