4:22 pm , July 15, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষ্যে নগরীতে আলোচনা সভা ও র্যালি হয়েছে। শুক্রবার বরিশাল কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে এ কর্মসুচি হয়। অর্থ মন্ত্রনালয়ের সেইফ প্রকল্পের আয়োজনে এ দিনটি পালন করা হয়। কারিগরি ক্যাম্পাস থেকে র্যালি বের করে সিএন্ডবি রোড প্রদক্ষিন করা হয়। পরে কেন্দ্রের সভাকক্ষে আলোচনা সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম চৌধুরী। প্রধান অতিথি শামীম চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের আহ্বানে প্রতি বছর ১৫ জুলাই ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ পালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মহীন যুব সমাজকে জনশক্তিতে রূপান্তর ও তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এ দিবসের চেতনা। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুবদের বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ অর্জন এবং তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথ নির্দেশকসমূহ হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। প্রধান অতিথি বলেন, প্রযুক্তির ক্রমাগত বিবর্তনের নিরিখে দক্ষতার মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগীকরণ, অভিন্ন সনদায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন ইত্যাদি বিষয় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষতা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারি সব অংশীজনের সহযোগিতা নিয়ে সময়োপযোগী একটি দক্ষতা উন্নয়ন ইকো-সিস্টেম তৈরি ও বাস্তবায়ন করার অন্যতম লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে যুবদের দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বহুমুখী শ্রমের চাহিদাপূরণ, প্রযুক্তির পরিবর্তনে কর্ম-সংকোচনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পুনঃপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মপোযোগী করা, পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকসংখ্যক দক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. গোলাম কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিইএমও’র সহকারী পরিচালক একেএম শাহবুদ্দিন আহম্মেদ ও মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আহম্মেদ আল ইমরান। উপস্থিত ছিলে বরিশাল কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রশিক্ষন পরিদর্শক মো. মাহমুদ হাসান, মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স কোর্সের প্রশিক্ষক বশির আহমেদ ও মো. হানিফ।