4:12 pm , July 15, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিয়ের মাত্র কয়েকদিন আগে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী গাছ ব্যবসায়ী ও ঘটক মোঃ হালিম শিকদার (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এ সদস্যরা। শনিবার দুপুরে র্যাব-৮ এর সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরআগে নারায়নগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোঃ হালিম শিকদার ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানাধীন বড় কৈবর্তখালী এলাকার আজিজ সিকদারের ছেলে। এছাড়া সে নিজেও দুই সন্তানের জনক। মামলা ও স্বজনদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর সদর ইউনিয়নে চরখালী গ্রামের নানা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ১৪ বছরের এক কিশোরী। চলতি বছরের গত ২৪ এপ্রিল বয়স না হলেও নোটারীর মাধ্যমে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়া হয় ওই কিশোরীর। বিয়ের তিন দিন পূর্বে ২১ এপ্রিল ঘটক হালিম শিকদার কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আর সেই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখায় এবং পরবর্তী সময়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ঘটক হালিমের মাধ্যমে ঠিক হওয়া ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেয়া হয় ভিকটিমকে। স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পর ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। স্বামীর মারধর ও পরিবারের চাপে পড়ে ভিকটিম ঘটক হালি কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি স্বজনদের জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিম কিশোরীকে শশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলে সে নানা বাড়িতে পুনরায় আশ্রয় নেয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত হালিম ও তার স্বজনরা স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে ২ লাখ টাকায় রফাদফা করার পাশাপাশি গর্ভে থাকা বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা চালায় বলে ভিকটিম অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের নানা বাদী হয়ে ২৮ জুন রাজাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) আইনে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাটি নিয়ে র্যাব-৮, সিপিএসসি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান ও একমাত্র আসামী মোঃ হালিম শিকদার আত্মগোপনে নারায়নগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৮,সিপিএসসি ও র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতার করে এবং রাজাপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।