4:32 pm , July 14, 2023

আরিফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক ॥ সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বেরিবাধে প্রায় শতাধিক বেঞ্চ মানুষের বসার জন্য। রয়েছে ৫৬ টি সড়ক বাতির ব্যবস্থা। নদী তীরবর্তী মনোরম পরিবেশ আর মুক্ত বাতাসের স্নিগ্ধতা পেতে আশেপাশের বাসিন্দারা এসে ভিড় করেছেন চরবাড়িয়া এলাকার এই বেরি বাঁধে। বেরি বাঁধ ধরে এখন অনায়াসে তারা ছুটে যাচ্ছেন লামচরের আরজ আলী মাতুব্বর পিকনিক স্পটে। আরজ মঞ্জিলের ভিড় ও বাড়ছে এই বেরি বাঁধের কারণে। ইতিমধ্যেই নদলি পাড় ঘেষে তৈরি হয়েছে আধুনিক পর্যটক বান্ধব হোটেল। বাড়ছে পর্যটকদের ভিড় ও আয়ের পথ। বাঁধ এলাকা ও আশেপাশে গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট চায়ের দোকান, ফুসকা, চটপটিসহ ভাসমান পণ্য বিক্রির ভীড়। সবমিলিয়ে রীতিমতো পর্যটন স্পষ্টে পরিণত হয়েছে বরিশালের সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন, লামচর সহ নগরীর ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ড। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই নদী রক্ষা বাঁধ তৈরির আগে হাজার হাজার ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখনো ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ডে কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক এই আসনের সংসদ সদস্য। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব শীঘ্রই ঝুকিপূর্ণ এলাকায়ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এদিকে চরবাড়িয়া এলাকার জনগণের মধ্যে জাহিদ ফারুক এমপি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে তিনি প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাকে বিপদমুক্ত করেছেন বলে জানান চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ইউনুস আলী। তিনি বলেন, জাহিদ ফারুক এমপি শুক্রবার এই বাঁধ উদ্বোধন করতে এসেছেন। এসময় বাঁধের শেষ দিকে আরো ২০০ মিটার এলাকায় এই বাঁধের প্রয়োজনীয়তা সাথে একটি সংযোগ সেতুর দাবী জানিয়েছি আমরা। তাহলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে সুবিধা শুনে প্রতিমন্ত্রী সাথে সাথে ঐ বাঁধ ও সংযোগ সেতু তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ঐ অংশ সম্পন্ন হলে লামচরির আরজ আলী মাতব্বরের আরজ ভিটায় পরিদর্শনও সহজ হবে। কেননা সংযুক্ত দুটো ভাঙা সড়কের কারনে বেরী বাঁধ ও আরজ ভিটায় আসা-যাওয়া কষ্টকর ছিলো। প্রতিমন্ত্রী তা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সড়ক নির্মাণ ও সেতু তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক বলেন, এই উদ্বোধন মঞ্চে এসে আমি সমস্যাটি জানতে পেরেছি। আগে জানলে হয়তো আরো আগেই সড়ক ও সেতু তৈরি হয়ে যেত। ২০০ মিটারের মতো বাঁধ তৈরির জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।এই মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথমে চরকাউয়া অংশে আরো বড় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ওখানে প্রায় আট কিলোমিটার এলাকা ঠিক এখানকার মতোই বেরি বাঁধ নির্মাণ হবে। ওখানেও এলাকাবাসী বাঁধ এলাকায় ভ্রমণে আসতে পারবেন। পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে গড়ে উঠবে বরিশালের নদী তীরবর্তী এলাকা। জাহিদ ফারুক বলেন, ঐ বাঁধ নির্মাণ শুরু হলে, ওটার সাথে এই ২০০ মিটার কাজও সম্পন্ন করে দেব ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর ধরে অবহেলিত এই চারবাড়ীয়া, চরকাউয়া, শায়েস্তাবাদ সহ নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে বরিশাল সদর আসনের এমপি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম ব্যাপক উন্নয়ন করায় এই সব অঞ্চলে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছে।