স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের ৪ টি খেয়াঘাটে লাখ লাখ টাকা আদায় হলেও তহবিল শূন্য ! স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের ৪ টি খেয়াঘাটে লাখ লাখ টাকা আদায় হলেও তহবিল শূন্য ! - ajkerparibartan.com
স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের ৪ টি খেয়াঘাটে লাখ লাখ টাকা আদায় হলেও তহবিল শূন্য !

4:22 pm , July 13, 2023

স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের ৫টি হাট বাজার ও ৬ টি খেয়াঘাট ২ টি কুদঘাট থাকলেও কোন  রাজস্ব পায়না ইউনিয়ন পরিষদ। এলাকাবাসীর অভিযোগ খেয়াঘাটগুলোর ইজারা দিয়ে চেয়ারম্যান লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন। শুধু জিলবাড়ী খেয়াঘাটের ডাক দিয়ে চলতি বছর ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।  চেয়ারম্যান ৩ টি ঘাট থেকে ৫২ হাজার এবং একটি ঘাট থেকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোন টাকা পয়সা ক্যাশ বইতে জমা করা হয়নি। এমনকি কোন রেজুলেশনও নেই।
ইউনিয়ন পরিষদের খাতা পত্র ঘেঁটে জানাযায়, ২০১৯ সালের ২০ হাজার টাকা জমা আছে। এছাড়া আর কোন টাকা পয়সা জমা নেই। পরিষদের সচিব আতিকুল ইসলাম দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার ও খেয়াঘাট ঘুরে জানাযায়, সবচেয়ে বেশি টাকার ডাক হয় জিলবাড়ী(জিরবাড়ী) খেয়া ঘাটে। ওই ঘাটের এবছর  ডাক হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ইজারা নেন কবির হোসেন ও  মিঠু মিয়া। মিঠু মিয়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজী হননি।  কবির হোসেন বলেন, তার ভাগের অর্ধেক ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়েছেন। ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাঝিরা গোপনে গোপনে গিয়ে ডাক আনে আমাকে জানায় না। কত টাকায় ডাক নিয়েছেন তা চেয়ারম্যান সাহেব ভাল জানেন।
চৌদ্দ রশি খেয়াঘাটের বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই ঘাট থেকে লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এলাকার মেম্বার সামসুল হক জানান, এ  পাড়ের মসজিদে ১৫ হাজার ও পশ্চিম পাড়ের মসজিদে ১০ হাজার টাকা এবং এলাকার আওয়ামীলীগের অফিস ভাড়া বাবদ বছরে ৭/৮ হাজার টাকা দেন। বাকী ৪০/৪৫ হাজার টাকা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে আছে এ পর্যন্ত আমি জানি।  মেম্বার মিজানুর রহমান ও সামসুল হক আরো বলেন, আমাদের সম্মানী বাবদ  চেয়ারম্যান সাহেব সব মেম্বারদের ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন এবং কাগজপত্রে স্বাক্ষরও নিয়েছেন।
এ ছাড়া  কাটা পিটানিয়া ও লেবু বাড়ী দুটি খেয়াঘাট এলাকাবাসী ধান ও বার্ষিক হিসেবে টাকা  দিয়ে চালায়। কাটা পিটানিয়ার ও কাটাখালী খালের মুখে টোল (কুদ) আদায় করা হয়। ওই ইউনিয়নের সবগুলো হাটের ইজারা ভূমি অফিসের তত্ত্বাবধানে খাস কালেকশন করা হয়।
এসব বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান বলেন, হাটবাজার থেকে কোন রাজস্ব পাই না। সবগুলো হাট বাজার খাস কালেকশন করা হয়। জিলবাড়ী খেয়া ঘাটের ইজারা নিয়ে জটিলতায় আছি। কোন ডাক দেওয়া হয়নি। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ওদেরকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে জমা দিতে বলেছিলাম ওরা ২৫০ টাকাও দেয় আবার ২০০ টাকা করেও দেয়। বৈঠাকাটা খেয়া ঘাট থেকে ১৫ হাজার, মেধা ঘাট থেকে ২ হাজার এবং চৌদ্দরশি ঘাট থেকে দুই পাড়ের মসজিদে ও এলাকার আওয়ামী লীগের অফিস ভাড়া বাবদ কিছু টাকা দিয়ে ৩৫ হাজার টাকা পেয়েছি। সব টাকাই অফিসে জমা আছে। আপনার সচিব বলেছেন অফিসে কোন টাকা পয়সা জমা হয়নি। এমন প্রশ্নে জবাবে  তিনি বলেন, উনি বলতে পারেন আমি জানিনা। কাটাখালী ও কাটাপিটানিয়ার খাল মুখ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন,  এভাবে কোন খেয়া ঘাটের টোল আদায় করা বা ডাক দেওয়ার নিয়ম নেই। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT