4:13 pm , July 10, 2023

বাউফল প্রতিবেদক ॥ বাউফল উপজেলায় প্রতিনিয়তই কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম। তারা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। এরা নিজেদের মতো করে এক একটা গ্যাং তৈরী করছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সর্বত্রই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এই কিশোর গ্যাং। এদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর। এরা তথাকথিত বড় ভাইদের শেল্টারে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে এবং মাদক ব্যবসা চালিয়ে নিতে দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে প্রায়শই। ইভটিজিং, মাদক কারবারি, সেবন ও চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে আছে তারা। স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসার মেয়েরা যেতে পারছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
উপজেলার সব ইউনিয়নেই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলারও ঘটনা ঘটছে । সম্প্রতি কিশোর গ্যাং সদস্যদের সংশোধন করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেছিলেন কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা। কিন্তু চেয়ারম্যানের অগোচরে ওইসব কিশোর গ্যাং সক্রিয় রাখতে দিচ্ছেন শেল্টার । কালাইয়া ইউনিয়ন যেন মাদকের আখড়া বাড়িতে পরিনত হয়েছে।
এদিকে কিশোর গ্যাং দমনে বৃহস্পতিবার পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে বাউফল থানা পুলিশ। কিন্তু রহস্যজনক কারনে একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ। সচেতন মহল মনে করেন এটা লোকদেখানো ছাড়া আর কিছুই না।
এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের সচেতনরা জানান, দায়সারাভাবে দুই একটা অভিযান চালিয়ে হয়ে যান পুলিশ আবার লাপাত্তা। তবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে অভিযান চালিয়ে ওইসবদের ঠিকমতো শাস্তি দিতে পারতেন তাহলে আস্তে আস্তে অবশ্যই ওইসবদের বিলুপ্তি ঘটবে। আবার দেখা যায় নেতাদের দালালি বা সুপারিশ, তদবির আমলে নিতে! এগুলো পুলিশ প্রশাসন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেশ ও সমাজের কথা চিন্তা করে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিফুল হক বলেন, ওই অভিযানে কাউকেই আটক করা যায়নি। তবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত শুধু কিশোর গ্যাং নয় সকল অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।