চরফ্যাশনে প্রাচীর নির্মান করে বালু ভরাট ॥ পুলিশ বলছে আদালতে যেতে চরফ্যাশনে প্রাচীর নির্মান করে বালু ভরাট ॥ পুলিশ বলছে আদালতে যেতে - ajkerparibartan.com
চরফ্যাশনে প্রাচীর নির্মান করে বালু ভরাট ॥ পুলিশ বলছে আদালতে যেতে

4:04 pm , July 10, 2023

মো: আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ভোলার চরফ্যশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে দেয়াল নির্মান এবং বালু ভরাটের কাজ হচ্ছে। বাদী থানা পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের স্বপন কুমার দাস এবং তারই ভাতিজা পার্থ সারথী দাস এর সাথে দ্বন্দ্বের  কারনে চরফ্যাশনের সহকারী জজ আদালতে সুবিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন। ক্রয়কৃত জমি পার্থ সারথী দাস অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। খবর পেয়ে চাচা স্বপন কুমার দাস আদালতের মাধ্যমে টাকা দাখিল করেন। একই সাথে নিষেধাজ্ঞার দাবি করেন। বিজ্ঞ আদালত শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির চারপাশে ইট দিয়ে দেয়াল উঠিয়ে বালু ভরাটের কাজ চলছে। এসময় বিরোধীয় জমিতে একটি সাইনবোর্ডে পার্থ সারথী দাসের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক দাবী করেছেন তসলিম, মামুন ও টিপু নামের তিনজন। তারা ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবী করে সাইনবোর্ড দিয়েছেন। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ওই জমিতে ইট দিয়ে দেয়াল নির্মানের পর বালু ভরাটের কাজ করছেন ক্রয় সূত্রে মালিকরা। বিষয়টি মামলার বাদী স্বপন কুমার দাস চরফ্যাশন থানা পুলিশকে জানালেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ভাতিজার জমি এবং পাশ্ববর্তী জমি বলে টাকা দাখিল করেছেন স্বপন কুমার দাস। তার দাবী পাশের জমির দাবীদার তিনি। এখন আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই মেনে নেবেন তিনি। কান্নাজড়িত কন্ঠে স্বপন কুপার দাস বলেন, আজ বিচার পাচ্ছিনা। আমরা কার কাছে গেলে বিচার পাবো। আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না এবং পুলিশ কোন সহযোগীতা করছে না। জমিতে গেলে সন্ত্রাসীরা জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। থানায় জিডি করায় সন্ত্রাসীদের হুমকিতে আতংকের মধ্যে কাটছে আমাদের।
জমির মালিকানা দাবীদার মামুন বলেন, ভাই আমরা ৩/৪জনে মিলে জমিটা ক্রয় করেছিলাম। এখন আমরা জমির মালিক না। একক মালিক হচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ। তবে আমরা জমি ক্রয় করেছি পার্থ সারথী দাসের কাছ থেকে।  স্বপন কুপার দাস একজন খারাপ মানুষ। সবার জমিতেই একটা ঝামেলা পাকিয়ে রাখে।  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। পার্থ সারথী দাসের কাছ  থেকে ক্রয় করেছি। জোর করে কিছু করিনি। বৈধভাবেই মালিক হয়েছি। নিষেধাজ্ঞার বিষয় কিছুই জানি না আমরা। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই মেনে নেব। আইন সবার জন্যই সমান।
এ বিষয় জমির মালিক পার্থ সারথী দাস বলেন, আমি ক্রয় করে মালিক হয়েছি। আমার চাচা স্বপন কুমার দাসকে জমি ক্রয় করে রাখার জন্য বলেছি। সে রাজী না হয়ে উল্টো জমি তার দাবী করে আমাকে হয়রানী করে আসছিলো। কেউ জমি ক্রয় করতে চায়নি। এখন আমি জমি বিক্রি করেছি আমার ইচ্ছামতো। চরফ্যাশন থানার ওমি মুরাদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ সহযোগীতা চাইলে ২৪ঘন্টা শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার চন্য ব্যবস্থা নিতে পারি। এর পরে না। বাদী পক্ষকে এজন্য আদালতে আবেদন করতে বলেন। নিষেধাজ্ঞার বিষয় আদালতকেই জানাতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT