4:09 pm , July 6, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ ঈদ উল আজহা পরবর্তী কর্মস্থলমুখী শ্রমজীবী মানুষের ¯্রােতে ঠাসা বরিশাল নদী বন্দর। গত প্রায় দশ দিন ধরেই সংখ্যক নৌযান বোঝাই করে যাত্রীরা ঢাকা এবং চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাতায়াত করছেন। সড়ক পথে যাত্রীর ¯্রােত আরো দীর্ঘ। মহাসড়কের সক্ষমতার তুলনায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বেশী হওয়ায় বরিশাল থেকে পদ্মাসেতুর সংযোগকারী বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা পয়েন্ট পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে গত দিন দশেক ধরে যানযট লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলছে। পদ্মা সেতু চালু হবার পরে নদ-নদীবহুল দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ ব্যবসায় ধ্বস নেমেছিলো এই ঈদে তার কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছেন মালিকরা। নৌযান মালিক ও কর্মচারীরা আগামী রোববার পর্যন্ত নৌপথে এ ভীড় অব্যাহত থাকার আশা করছেন। শুধু বরিশাল নদী বন্দর থেকেই গত ১০ দিন ধরে ৮-৯টি বিলাসবহুল বেসরকারী নৌযান ঢাকায় যাচ্ছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি নৌযান চাঁদপুর হয়েও ঢাকায় যাচ্ছে। এসব নৌযানে ভোর রাতের দিকে চাঁদপুর পৌছে সেখান থেকে সকাল ৫টার ট্রেনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের অনেক যাত্রীও চাঁদপুর হয়ে সড়ক পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
পদ্মা সেতু চালু হবার পরে দক্ষিণাঞ্চলের ওপর বাহুলাংশে নির্ভরশীল বিআইডব্লিউটিএ’র রাজস্ব আয় প্রায় ৩০ভাগ হ্রাস পেয়েছে। এখন শুধু বছরে দুটি ঈদ পর্বের সময়ই কেবল নৌপথে যাত্রী চলাচল করছে। বরিশাল বন্দর থেকে ঢাকামুখী প্রায় ২৭টি বেসরকারী নৌযানের রুট পারমিট থাকলেও ঈদ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক গড়ে ৪টি করে নৌযান চলাচল করে থাকে। দক্ষিনাঞ্চল থেকে রুট পারমিটধারী প্রায় দেড়শ নৌযানের ৫০টি এখন আর চলাচল করছে না।